শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:৪৮ দুপুর
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসিনাকে ভারত ফেরত না পাঠালে আইসিসির সহযোগিতা নিতে পারবে বাংলাদেশ: টবি ক্যাডম্যান

ভারত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান। তবে ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না পাঠালে বাংলাদেশ আইসিসির সহযোগিতা নিতে পারবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

 টবি ক্যাডম্যানের সঙ্গে আলোচনা শেষে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনার বিষয়ে টবি ক্যাডম্যান বলেছেন যে, ভারত যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তারা গণতন্ত্রের নিয়ম ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন এবং আনুষ্ঠানিক অনুরোধ যদি বাংলাদেশ সরকার করে, তাহলে সেটার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবেন।

তাজুল ইসলাম জানান, টবি ক্যাডম্যান এটাও বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফরম্যাল চার্জ হওয়ার পরে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার যদি ভারতের কাছে অনুরোধ জানায় এবং ভারত যদি ফেরত না পাঠায়, তাহলে তার অনুপস্থিতিতেই ট্রায়ালের বিবেচনা করবেন। এমনকি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সহযোগিতা নেয়া যায় কি না, সেটি পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। 

তিনি আরও জানান,  কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড থাকলে যে যেসব রাষ্ট্র আসামিকে ফেরত পাঠাতে চায় না, সেসব রাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতাটা ভিন্ন। 
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে মৃত্যুদণ্ডের যে বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কেবল রয়েছে আদালতের। আদালতই ঠিক করবেন মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে কি না। বাংলাদেশ সরকার এই আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধানটি অ্যাবলিস করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে। উৎস: মানবজমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়