মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন এ আবেদন করেন। এ বিষয়ে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ কেন আপিল করেননি তা জানতে চেয়েছেন চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্যে আগামী মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (১ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত আবেদন শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছেন। সেদিন পর্যন্ত কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। ফলে এখনই মুক্তি মিলছে না তার।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক। বাবুল আক্তারের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মহাবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল ও আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাবুল আক্তারের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত। আসামিরা হলেন, বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম।
অভিযোগ গঠনের দিন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে আসামি বাবুল আক্তার হত্যা করেন। বাবুল আক্তার যখন ঢাকায় ছিলেন তখন সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ৩০২, ২০১ এবং ১০৯ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে ২ হাজার ৮৪ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই বছরের ১০ অক্টোবর এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় মামলার বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার। তদন্তের পর সেই মামলায় আসামি হন বাবুল আক্তার। উৎস: জাগোনিউজ২৪
আপনার মতামত লিখুন :