মাসুদ আলম : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনিযুক্ত কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী বলেন, থানা হবে নগরবাসীর জন্য পুলিশের সার্ভিস সেন্টার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডিএমপিতে কর্মরত বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ মো: সাজ্জাত আলী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৮তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনারের সভাপতিত্বে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাগণের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, থানা হলো জনসাধারণকে সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্রস্থল। পুলিশের কাজ হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। আমরা সম্মানিত নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, থানায় আগত একজন ব্যক্তিও যেন সেবা বঞ্চিত না হন সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, নগরবাসীরা যাতে সহজে, নির্ভয়ে থানায় যেতে পারেন, তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন এবং প্রার্থিত সেবা গ্রহণ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রধান ও প্রথম কাজ হবে জনগণের সাথে ভালো ব্যবহার ও তাদের কথা শোনা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যত্যয় গ্রহণযোগ্য হবে না।
সভায় উপস্থিত ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাগণের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। যানজট নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ব্যবহারে হতে হবে বিনয়ী কিন্তু আইন প্রয়োগে হতে হবে দৃঢ়।
মতবিনিময় সভায় কমিশনার বর্তমান সময়ে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং পর্যায়ক্রমে তা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মোঃ ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ মাসুদ করিম; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ; উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :