মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারবিষয়ক কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান সংস্থাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল লুইস জি ফ্রানচেস্কি। অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ নির্বাচন চায় কমনওয়েলথ, যেখানে এ দেশের জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে।
বৈঠক শেষে সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কমনওয়েলথ প্রতিনিধি আলাপ করতে এসেছেন। তাঁরা আমাদের সহায়তা করতে আগ্রহী। আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জানকে আগ্রহী। তাঁদের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে মতামত আদান-প্রদান হয়েছে। তাঁরা চাচ্ছেন আমাদের দেশে একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক এবং এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সহায়তা করতে চান। এই আগ্রহ ও উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি চাই তাঁরা সহায়তা করবেন। কোনো প্রেসক্রিপশন নিয়ে তারা আসেন নাই। কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়ার জন্য আসেন নাই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কমনওয়েলথ বৈধতা দিয়েছিল, বর্তমানে তাদের অবস্থান কী এবং আপনাদের কোনো পরামর্শ দিয়েছে কিনা? সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে বদিউল আলম মজুমদার এ বিষয়ে লুইসকে জবাব দিতে বলেন।
লুইস তখন বলেন, খুব ভালো প্রশ্ন, আপনারা জানেন কমনওয়েলথ ২০১৪ সালের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এসেছিল। আমরা পরিষ্কারভাবে মতামত দিয়েছি। আমরা ১৮ ও ২৩ সালের নির্বাচনে আসিনি। একটি ছোট দল গত নির্বাচনে এসেছিল। আমরা সর্বদা কোনো দেশে আসি শিখতে, শুনতে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের চাহিদা মোতাবেক সহায়তা করি। আমরা রিকমেন্ডেশন করি এবং তা বাস্তবায়নে সহায়তা করি। আমাদের ভালো আলোচনা হয়েছে কমিশনের সঙ্গে। আমাদের একটি চমৎকার দল এখানে এসেছে রিফর্মের জন্য। রিফর্ম বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ একটি সফল গল্প হবে কমনওয়েলথের জন্য।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন (২৭০ কোটি) মানুষ রয়েছে, যাদের ৬০ শতাংশ হচ্ছে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মনে করি এটা একটা শিক্ষা হতে পারে। আমরা অন্য দেশ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে সহায়তা করতে পারি এবং বাংলাদেশও অন্য দেশেকে একইভাবে সহায়তা করতে পারে। আমি মনে করি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনই হচ্ছে লক্ষ্য, যেখানে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হবে।
সুনির্দিষ্ট রিকমেন্ডেশন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এটা আসবে সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে। আমরা তাদের সহায়তা করতে পারি। আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য আসিনি। আমরা শিক্ষা নেওয়ার জন্য আসি এবং ৫৬টি দেশকে সহায়তা করি।
লুইস গাব্রিয়েল ফ্রান্সেসসি-র নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটির পাঁচ সদস্য ছাড়াও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :