শিরোনাম
◈ শিক্ষার্থীদের নতুন দল গঠনের ঘোষণা, রাজনীতিতে নানা আলোচনা ◈ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে: আখতার হোসেন (ভিডিও) ◈ ভারতের সাম্ভালে মুসলিম সংসদ সদস্যকে বিদ্যুৎ চুরির জন্যে ২ কোটি টাকা জরিমানা ◈ কেউ যেন জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে: মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অসন্তোষ, ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় বিএনপি নেতারা ◈ পুলিশ ও জনগণ একে অপরের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে: সিটিটিসি প্রধান  ◈ বড়দিন উপলক্ষে নৌভ্রমণ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ৩৮ জনের প্রাণহানি ◈ বিএনপি অফিসে আ.লীগের হামলা, আহত ১০ ◈ ২৫ ক্যাডারের নতুন সংগঠন ◈ চলতি মাসের ২১ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ১০ ব্যাংকে

প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৮ রাত
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

ধর্মীয় সহিংসতার ছোট ঘটনা নিয়ে সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে : ড. ইউনূস

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কয়েকটি’ সহিংসতা ঘটেছে। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করতে সেগুলো নিয়ে সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। আধা ঘণ্টার বেশি সময় দেওয়া ভাষণে ৮ আগস্ট সরকার গঠনের আগের ও পরের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটা দেশ। এ সময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সহিংসতারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু এটা নিয়ে যেসব প্রচার-প্রচারণা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত। অল্প যে সমস্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু এসব ঘটনাকে ধর্মীয় আবরণ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা দৃঢ়ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।’

সরকার পতনের পরপর ৫২টি জেলায় হিন্দুসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের দুটি জাতীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠিতে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৪ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৭৬ জেলা ও মহানগরের মধ্যে ৬৮ স্থানে ২০১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছে। এরপরও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় দেশে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপিত হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে এক দিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়; যা উৎসবের আমেজকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। দুর্গাপূজাকে ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিই। যার ফলে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা দায়িত্বে আসার পর যে অল্প কিছু ক্ষেত্রে তারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন; আমরা তার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছি। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয়, দেশের কোনো মানুষই যাতে কোনো রকম সহিংসতার শিকার না হয়, সে জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং সব সময় সে চেষ্টা করে যেতে থাকব।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়