শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:৪৪ রাত
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মনিরুল ইসলাম

সাউথ কোরিয়ায় আরও বেশি বাংলাদেশি নিতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

সাউথ কোরিয়ায় আরও বেশি বাংলাদেশি নিতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

মনিরুল ইসলাম  ঃ দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করা,  পারস্পরিক সুবিধার জন্য আরও বেশি বাংলাদেশি, বিশেষ করে তাদের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার  তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এই আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি বিস্তৃত এবং আরও উন্নত সম্পর্কের জন্য উন্মুখ; আমাদের বিদ্যমান সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করুন।

কোরীয় উপদ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রধান উপদেষ্টা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা কামনা করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তিনি কোরিয়ার জাহাজ নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে বিশেষ আগ্রহের কথা জানান।

তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরএমজি কারখানা পরিচালনা করছে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলের (ইডিসিএফ) এক নম্বর প্রাপক দেশ এবং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী।

বাংলাদেশের জন্য ইডিসিএফ থেকে ওডিএ ঋণের মোট পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ৩৪টি প্রকল্প রয়েছে। ইডিসিএফের ১৪টি প্রকল্প চলমান বা সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের অধীনে রয়েছে। এটি কোরিয়ান বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমরা বিনা বাধায় বিদ্যমান প্রকল্পগুলো চালিয়ে যেতে পারবো বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, মাত্র ৫০ বছর আগে, কোরিয়াও একটি ওডিএ (অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স) প্রাপক দেশ ছিল। সুতরাং, আমরা বাংলাদেশের অসুবিধা সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত আছি এবং উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে ভালো অংশীদার হতে পারি। তিনি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ইপিএ নিয়ে দ্রুত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তার জন্য কোরিয়াকে ধন্যবাদ জানান।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়