শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ০৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৪ রাত
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড়

মহসিন কবির : বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য নিয়ে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে। একেক জন একেক ভাবে ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করেছেন।  

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। তাঁরা হামলা ও গণ লুটের শিকার হচ্ছেন। সেখানে এখনো অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’

ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন,  ট্রাম্পের মন্তব্য আমাদের অনেককে বিব্রত করেছে। কারণ, আমরা এখানে (বাংলাদেশে) যাঁরা আছি, তাঁরা মনে করি, সকল ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার স্বীকৃত। ফলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের হয়রানি করা হচ্ছে, এমন ধরনের যে অভিযোগ আমরা শুনি, আমরা এ কথাগুলোর সঙ্গে একমত নই।

খালিদ হোসেন আরও বলেন, ‘ভোটের ময়দানে অনেকে অনেক কথা বলেন, হয়তো মি. ট্রাম্প ভোট পাওয়ার জন্য এসব কথা বলেছেন। তবে আমরা বিশ্বাস করি ও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে এ দেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যাঁরা আছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। তাঁদের ধর্ম, ব্যবসা, রাজনৈতিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। এটা আমাদের অঙ্গীকার। কেউ যদি কারও কোনো উপাসনালয় অপবিত্র করতে চায়, আমরা মনে করি তারা কোনো ধর্মের লোক নয়, তারা অপরাধী। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো সাময়িকভাবে বিজয়ী হতে পারে। কিন্তু দ্রুতই তারা এটা বুঝতে পারবে যে তাদের বক্তব্যের কোনো সারবত্তা নেই। সামাজিক মাধ্যমে টাকা ঢেলে বক্তব্য ছড়িয়ে বা নিউইয়র্কের গণপরিবহনব্যবস্থা ও ভ্যানে ব্যানার টাঙিয়ে তাঁদের কোনো কাজে আসবে না। 

শফিকুল আলম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমরা জানি, বিপ্লব (জুলাই গণ-অভ্যুত্থান) নিয়ে বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে সহিংসতা চালানোর বিষয়ে মিথ্যা বয়ান তৈরির ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর ভাষ্যগুলো একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। আমরা এটা অস্বীকার করছি না যে কিছু ধর্মীয় সহিংসতা ঘটেনি। কিন্তু সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং সেগুলো নিয়ে ব্যাপকভাবে অতিরঞ্জন করা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ট্রাম্পের কথার যৌক্তিক অর্থ খুঁজতে যাওয়া বোকামি। ট্রাম্প বিশ্ব রাজনীতিতেই একটি বিতর্কিত নাম। তিনি কখন কী বলেন নিজেও জানেন না। 

মেজর হাফিজ আরও বলেন, ট্রাম্প নির্বাচনে জিতলেও কিছু হবে না। তাদের হাতে অন্য অনেক এজেন্ডা রয়েছে। আগের মতো অবস্থা আর নাই। আমেরিকা চাইলেই সব হবে না। চীন ও রাশিয়াও এখন শক্তিশালী। আমরা অপেক্ষা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যিনি জয়ী হবেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে দেখার জন্য।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন বলেছেন, ‘আপনাকে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আপনার ৫ নভেম্বর নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করেন। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করবে।’ এ সময় বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে হিন্দু কিছু ভোট নিজের বাক্সে নেওয়ার পরিকল্পনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কেউ ভুল বুঝিয়েছে। কিছুদিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয়ের লবিস্ট নিয়োগের প্রতিক্রিয়ায় এটা হতে পারে।’

সামরিক জোট ন্যাটো নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে চলছে তোলপাড়। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ন্যাটো প্রধান। খবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসির।

গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, সামরিক জোটটিতে যেসব সদস্য দেশ তাদের নির্ধারিত চাঁদা পরিশোধ করবে না, সেসব দেশে হামলা করতে রাশিয়াকে উৎসাহিত করা হবে।

ট্রাম্পের এমন মন্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য ভয়ঙ্কর ও পাগলের প্রলাপ।

সাবেক প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ন্যাটো ও ইউরোপীয় কাউন্সিল। ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য আমাদের সকল নিরাপত্তাকে ‘অবমূল্যায়িত’ করেছে। ট্রাম্পের মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়