শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৫৭ রাত
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ৮ম এলএফটি  এর সফল সমাপ্তি

মাসুদ আলম : আইএসপিআর জানায়, ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ৩০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র ৮ম Land Forces Talks (LFT) ২০২৪ বৃহস্পতিবার  সমাপ্তি হয়েছে। এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনায় ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন, যার নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের (USARPAC) স্ট্র্যাটেজি এন্ড প্ল্যানস বিষয়ক ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল মেজর জেনারেল স্কট এ. উইন্টার, এএম।

এই আলোচনা পর্বে উভয় পক্ষই সামরিক সহযোগিতা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং কৌশলগত সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। আলোচনায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রশিক্ষণ আদান-প্রদান, উন্নত প্রযুক্তি ও সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পারিক সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বিশেষ করে, সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একাধিক যৌথ প্রশিক্ষণ ও মহড়ার আয়োজন, উদ্ভাবনী প্রশিক্ষণ পদ্ধতি এবং অধিকতর কার্যকর যৌথ সহযোগিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

প্রতিনিধিরা উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান কৌশলগত সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার জন্য তাদের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন। এর মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এবং প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রস্তুতি গ্রহণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত পোষণ করে। আলোচনায় নানাবিধ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রস্তুতির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সেনাবাহিনী এবং সামরিক কৌশলের ক্ষেত্রে এই ধরনের বৈঠক উভয় দেশের প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধনের পথ সুগম করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়