মাসুদ আলম : সন্ত্রাসী, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, কিশোর গ্যাং, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির বিরুদ্ধে চলমান বিশেষ অভিযান জোরদার করার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেনপুলিশ মহাপরিদর্শক মো. মাইনুল ইসলাম
সোমবার এক বিশেষ বার্তায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায়ন বলা হয়, দেশব্যাপী চলতি ১৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী, গুরুত্বপূর্ণ হত্যা মামলার আসামিসহ অন্যান্য মামলার আসামিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
চলমান অভিযানে অপরাধপ্রবণ এলাকা অর্থাৎ ক্রাইম জোনে কম্বিং অপারেশন পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশের স্থায়ী চেকপোস্টের পাশাপাশি অস্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশি টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মোবাইল পেট্রোল ও মোটরসাইকেল পেট্রোল টিম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এলাকায় ১৫০টি স্থায়ী ও মোবাইল চেকপোস্ট কার্যকর রয়েছে। ৩০০টি মোটর সাইকেল টিম এবং ২৫০টি টহল টিম কার্যকর রয়েছে। এছাড়া, দেশব্যাপী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
বিগত সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় যারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধেও মামলা, গ্রেফতারসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যা চলমান রয়েছে।
চলমান বিশেষ অভিযানে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, ডাকাত ২০০ জন; তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ১৬ জন; বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলাকারী ১ হাজার ১৪০ জন; মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্তে ১ হাজার ১৪৪ জন এবং অবৈধ অস্ত্রধারী ৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :