শিরোনাম
◈ ৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতি কতজনকে মাফ করেছেন জানতে চান আদালত ◈ ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ◈ বিশেষ বিসিএসে দু’হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার ◈ আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে লন্ডনে একসঙ্গে সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী! ◈ বাংলাদেশ চীন সম্পর্কে কিছুতেই অস্বস্তি কাটছে না ভারতের! ◈ কখ‌নো রাজনীতিতে আসবেন না সৌরভ গাঙ্গুলী ◈ ভারতীয় বো‌র্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি: এ প্লাস ক্যাটাগ‌রির ক্রিকেটাররা পা‌বেন ৭ কো‌টি রু‌পি ◈ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন মামলার এজাহারনামীয় আওয়ামী লীগের গ্রেফতার ৯  ◈ আমরা আমাদের তরুণদের চীনে পড়াশোনা ও ভাষা শেখায় উৎসাহিত করব : প্রধান উপদেষ্টা ◈ শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নেট কার্বন নির্গমনের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৮:০৬ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মতিয়া চৌধুরীকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস

আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন। তার দাফনও সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যু ঘিরে অনেকে লেখালেখি হয়েছে, সংবাদও প্রচার হয়েছে অনেক।

মতিয়া চৌধুরীকে ঘিরে প্রচারিত সেসব সংবাদ ঘিরে সমালোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ সমালোচনা করেন।

শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘দেশের প্রথম সারির সংবাদপত্রগুলো মতিয়া চৌধুরীর দীর্ঘ জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোকে সামনে এনে তাকে সম্মান জানিয়েছে। কিন্তু নির্মোহ শোক সংবাদের পরিবর্তে সেগুলোতে মূলত ছিল সাধারণ প্রশংসা, যেন একজন মুরিদ তার পীর সম্বন্ধে লিখছেন।’

তিনি লিখেছেন, ‘এটা পরিষ্কার যে আমরা ছোট থেকে অনেক সুফি তাজকিরা বিশেষ করে তাজকিরাতুল আউলিয়া এবং তাজকিরাতুল আম্বিয়া পড়ে বড় হয়েছি।’

প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘১৯৬০ সালে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা হিসেব তার ভূমিকা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের ইতিহাসের কিছু গৌরবান্বিত অধ্যায়েও তার ভূমিকা রয়েছে। যেমন আইয়ূব খানের আমলে ছাত্র আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীতে আশির দশকের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন। একজন শোকগাঁথা লেখককে অবশ্যই এই ঘটনাগুলো স্পর্শ করতে হবে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু আপনারা (সংবাদ মাধ্যম) শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনে তার ভূমিকাকে, তিনি কীভাবে ছাত্র আন্দোলনকে দানব আখ্যা দিয়েছেন এবং তিনি কীভাবে একটি ফ্যাসিস্ট শাসনের অংশ হয়েছেন, তা অবজ্ঞা করেছেন। গত ১৫ বছর ধরে চলা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন যে কম গুরুত্ব পাচ্ছে, এটিই আপনারা সামনে এনেছেন। তিনি যেভাবে ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসকের বন্দনা করেছেন, প্রকৃতপক্ষে আপনারা সেটিকেই বৈধতা দিচ্ছেন।’

আরও লিখেছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে যুগ যুগ পরেও আমাদের সংবাদপত্রগুলো শোক সংবাদ লেখার শিল্প ধরতে ব্যর্থ। অথবা তারা মৃত ব্যক্তির সমালোচনা না করার ইসলামিক রীতির সমর্থক।’

বুধবার ৮২ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান মতিয়া চৌধুরী। এই আওয়ামী লীগ নেতাকে সকালে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যু হয়। হৃদরোগসহ শারীরিক কিছু জটিলতায় ভুগছিলেন মতিয়া চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার দুই দফা জানাজা শেষে মতিয়া চৌধুরীকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার স্বামী বজলুর রহমানের কবরে সমাহিত করা হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৩ দফায় কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংসদ বিলুপ্ত হলে এমপি পদ হারান মতিয়া চৌধুরী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়