শিরোনাম
◈ ১৯ দিনে ডেঙ্গুতে ৭৮ জনের প্রাণহানি ◈ সৌদির টিভি অফিসে হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ বলায় হামলা-আগুন ◈ স্বর্ণের দামে বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস ◈ প্রায় ৯ ঘণ্টা পর আল্টিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন আউটসোর্সিং কর্মীরা ◈ মিস ইন্ডিয়া বিজয়ী মধ্যপ্রদেশের নিকিতা পোরওয়াল ◈ বিবাহবিচ্ছেদের পথে যুবরাজ হ্যারি ও মেগান মার্কল! ◈ যেভাবে পান্নুনকে হত্যা পরিকল্পনা সাজান ‘র’-এর সাবেক কর্মকর্তা বিকাশ যাদব ◈ আবারো ভারতের উইকেটে ধস, জিততে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ১০৭ ◈ দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারের সব অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাজে লাগাতে চাই: কোচ সিমন্স ◈ প্রধান উপদেষ্টাকে ২৩টি প্রস্তাব দিলেন অলি আহমেদ

প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৯:০১ রাত
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সংস্কার না রোডম্যাপ কোনটা আগে? নানা মত

মহসিন কবির : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন। সংলাপে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। কেউ চেয়েছেন আগে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা। কেউ চেয়েছেন আগে রাষ্ট্র সংস্কার পরে নির্বাচনের রোড ম্যাপ।  এখন জনমনে একটাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আগে কোনটা। 

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন আমাদের এক নম্বর প্রায়োরিটি। তবে নির্বাচনের রোডম্যাপে আমরা সরকারের কাছে কোনও মাস দিনকাল নিয়ে কথা বলিনি। জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমাদের দেওয়া দু’টি রোডম্যাপের মধ্যে একটি হবে সংস্কারের, আরেকটি নির্বাচনের। সংস্কার সফল হলেই নির্বাচন সফল হবে।

নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা একটা সরকার বদলানোর আন্দোলন করছি না, নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি না। সামগ্রিকভাবে আন্দোলন করছি যাতে নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। আবার যাতে ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বৈরাচার, খুনি, ফ্যাসিস্টরা যেন নির্বাচন করার সুযোগ না পায়, সেটা নিয়ে আমরা উপদেষ্টাদের বলেছি। 

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সংস্কার কমিশনের মধ্যে প্রধান হল নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার। সেটা আজ থেকে, রাজনৈতিক দল-সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করে নির্বাচন কবে হবে, সেটার রোড ম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি একটি ‘নির্বাচনি রোডম্যাপ’ ঘোষণা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, “রাষ্ট্র সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে একটি ‘নির্বাচনি রোডম্যাপ’ ঘোষণা জরুরি। তাহলেই জনগণ বুঝতে পারবে দেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম একটি গণতান্ত্রিক পন্থার দিকে এগোচ্ছে। তাতেই জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বামপন্থী রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো। তবে এই সংস্কারের প্রস্তাবগুলো তৈরির আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত বলে তারা মনে করছে। পাশাপাশি তারা নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা চায়।

জাকির মজুমদার নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আবারও বলছি, অন্তর্বর্তী সরকার কোনো অবস্থায়ই তাদের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করা ঠিক হবে না। ডিসেম্বর ২০২৫ এর মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা সবদিক থেকে শ্রেয় হবে বলে মনে করি। 

এ ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামির বক্তব্যকে আমি স্বাগত জানাই। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সরকারকে সংস্কার এবং নির্বাচনের দুটি রোডম্যাপ ঘোষণা করে এগুতে হবে। জামায়াতের ভাষ্য হলো, সংস্কার কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে না পারলে নির্বাচনের রোডম্যাপ এগুবে না। 

এজন্য দলটি বলেছে, সংস্কারের জন্য সরকার কতদিন সময় চায় আগে তার রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে বুঝা যাবে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কতদিনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। তাই তারা সরকারের কাছে সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য টাইমলাইন চেয়েছে। 

জামায়াতের কথা হলো, তারা সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চান, তাড়াহুড়ো নয়। আবার দীর্ঘ সময় ধরেও সরকার সময় নিক এটাও দলটি চায় না। আমি মনে করি জামায়াতের পক্ষ থেকে দলটির আমীর যে বক্তব্য দিয়েছেন তা যথেষ্ট যৌক্তিক। 
 
বেলায়তে হোসেন ভূইয়া নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, বিএনপির দাবি নির্বাচনি রোডম্যাপ। যেমন তেমন একটা নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতার হাত বদলের জন্য দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণ এত রক্ত দেয় নাই।

শাহিল পারভেজ  নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সুপ্রভাত। BNP চায় নির্বাচনী রোডম্যাপ, জামাত চায় সংস্কার। আর আমরা যারা হেটার্স শ্রেণীর, চাই দুইটাই চালিয়ে অর্থনীতি হউক পুনরুদ্ধার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়