শিরোনাম
◈ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ: এবারও ডাক পায়নি জাপা ◈ নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা, বেঁচে গেলেন অল্পের জন্য ◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল ◈ পরীক্ষা দিতে এসে আটক রাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা ◈ বিশ্বের ১১০ কোটি তীব্র দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি থাকেন ভারতেই!  ◈ দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরের ওপর সাবেক স্ত্রীর হামলা ◈ এবার শাহবাগে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা : চাকরি জাতীয়করণের দাবি

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:১৭ বিকাল
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রথমে মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন, এরপর আইনের প্রয়োগ: পরিবেশ উপদেষ্টা

পর্যায়ক্রমে পুরো ঢাকা শহরকে হর্নমুক্ত করতে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে, পরে পুরো ঢাকা শহর এবং ধীরে ধীরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও শব্দদূষণ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আজ (২ অক্টোবর) ইউএনবিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

হর্ন বাজানোর নিয়ন্ত্রণে বিধিতেও পরিবর্তন নিয়ে আসা হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের শুরুতে পুরো ঢাকা শহরকে নীরব এলাকা করতে কর্মসূচি নেওয়া হবে। প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে, পরে পুরো ঢাকা শহর এবং ধীরে ধীরে বিভাগীয় শহরগুলোতেও শব্দদূষণ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, হর্ন বাজানোর দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তন করতে প্রথমে মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। এরপর আইনের প্রয়োগ। হর্ন বাজানো নিয়ন্ত্রণ করতে ডিসেম্বর থেকে জরিমানা কার্যকর করা হবে। প্রথমবার আইন ভঙ্গ করলে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার করলে আরও বেশি টাকা জরিমানা করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, জরিমানা কার্যকর করার আগে সব ধরনের গাড়ি চালক ও সাধারণ জনগণকে সচেতন করা হবে। হর্ন বাজানো দীর্ঘদিনের অভ্যাস তাই এটি পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, যানবাহনে অহেতুক হর্ন, যত্রতত্র সাউন্ড বক্স, মাইকের মাধ্যমে উচ্চ শব্দ সৃষ্টি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এসব মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।

তিনি বলেন, আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে অন্যান্য দূষণের পাশাপাশি শব্দদূষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার এখনই সময়। ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনা করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন ও বিধি বাস্তবায়ন ও অতিরিক্ত শব্দ করা থেকে বিরত থাকার সংস্কৃতি সৃষ্টি করতে হবে।

রিজওয়ানা মনে করেন, হর্ন বাজানো ও শব্দদূষণ বন্ধ করতে সবচেয়ে জরুরি হলো সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, আমরা যদি নিজেকে সচেতন করি, প্রতিটি চালক তার এই পুরনো অভ্যাস বন্ধে প্রতিজ্ঞা করে তাহলে দ্রুত হর্ন বাজানো ও শব্দদূষণ বন্ধ করা যাবে। সেজন্য জরিমানা করার আগে আগামী কয়েকদিন ব্যাপক আকারে সচেতনতার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

চালকদের হর্ন না বাজাতে উৎসাহিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তিনি জানান, লাইসেন্স নবায়নের শর্ত হিসেবে হর্ন বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ঢাকায় যানবাহনের হর্নের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি কমছে। শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। এটি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও স্নায়ুরোগ সৃষ্টি করতে পারে।

শব্দদূষণের বিষয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, জনগণকে ব্যাপকভাবে বধির হওয়া থেকে রক্ষা করতে শব্দদূষণ বন্ধ করতেই হবে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পকে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে নির্দশনা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শব্দদূষণের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে হর্ন ছাড়াও মাইকিং, বিজ্ঞাপন, কন্সট্রাকশনসহ বিভিন্নভাবে শব্দদূষণ হচ্ছে। হর্ন বন্ধ ছাড়াও সকল শব্দ বা সাউন্ড বন্ধ করা করতে হবে। নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে হলে আমাদের ‘কম শব্দযুক্ত’ দেশে থাকতে হবে। অনেক ড্রাইভার হর্ন বাজিয়ে পাশের মানুষকে বিরক্ত করেন। আমরা যদি বাস, ট্রাক বা গাড়িতে অপ্রয়োজনীয় হর্ন না বাজাই, তাহলে অনেক মানুষের স্বাস্থ্যহানি রোধ করা সম্ভব।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রেড লাইট থেকে গ্রিন লাইটে আসলেই সব গাড়ি হর্ন বাজানো শুরু করে। এটা উচিত নয়। হর্ন বাজানোর আগে ভাবতে হবে, এটি জরুরি কি না। সকল ড্রাইভারকে হর্ন না বাজানোর জন্য সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে, বাচ্চাদের স্কুলে নেওয়ার সময় রিকশায় যে শব্দ হয়, তাতে অনেক সময় কানের সমস্যা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম ধর্মে উচ্চস্বরে নয়, নিচু করে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে কথা বলতে হবে যাতে মানুষের বিরক্তির কারণ না হয়। আমরা মনে করি যে যত জোরে কথা বলতে পারি, সে তত শক্তিশালী। কিন্তু আসলে যুক্তিপূর্ণ কথা বলাই আসল ক্ষমতা। আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবর্তন আনলেই সমাজে ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব। উৎস: চ্যানেল আই অনলাইন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়