শিরোনাম
◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল ◈ পরীক্ষা দিতে এসে আটক রাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা ◈ বিশ্বের ১১০ কোটি তীব্র দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি থাকেন ভারতেই!  ◈ দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরের ওপর সাবেক স্ত্রীর হামলা ◈ এবার শাহবাগে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা : চাকরি জাতীয়করণের দাবি ◈ স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আবার ফিরেছেন বাংলাদেশ দলে ◈ দক্ষিণখানে পুলিশের পোশাক,নকল পিস্তলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৪, ০৫:০৩ বিকাল
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একই মামলায় যে কারণে মাহমুদুর রহমান কারাগারে শফিক রেহমান মুক্ত

আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কারাগারে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  তিনি বলেছেন, মাহমুদুর রহমান দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। তিনি পতিত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শারীরিকভাবে তাকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের হিংস্র আক্রমণে দমাতে না পেরে তার জীবনকে বিপন্ন করার চক্রান্ত করা হয়েছে।

সব মহল থেকেই মাহমুদুর রহমানের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আইন উপদেষ্টা বলেন, এ দেশে শেখ হাসিনার যে ফ্যাসিবাদী শাসন ছিল সেটার বিরুদ্ধে বুদ্ধিভিত্তিক লড়াইয়ের সূচনা করেছিলেন মাহমুদুর রহমান ভাই। এ জন্য উনাকে প্রচণ্ড নিপীড়ন-নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। যেটার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। উনাকে একটি ভুয়া মামলায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার শাস্তি দিয়েছিল। উনার অবর্তমানে শাস্তি দিয়েছিল। এই মামলার মেরিট নিয়েও প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।

তিনি বলেন, এ মামলায় বিচার কার্য সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। উনাকে অলরেডি শাস্তি দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। উনি বাংলাদেশে আসার কিছুদিন আগে উনার স্ত্রী শ্রদ্ধেয় ভারির বিরুদ্ধেও একটা অগ্রহণযোগ্য মামলা করা হয়েছিল। তিনি সেই মামলাতে সাজা স্থগিত চেয়ে আপিলের জন্য আবেদন করেছিলেন। এটা আমার কাছে আসে না। এই আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন আমাদের অভিমত চেয়েছে আমরা তখন ইতিবাচক জোর সুপারিশ করেছি। আমাদের এই সুপারিশের ভিত্তিতে মাহমুদুর রহমান ভাইয়ের স্ত্রীর সাজা স্থগিত করে উনাকে আপিল করার সুযোগ দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, মাহমুদুর রহমান ভাই যে মামলায় শাস্তি পেয়ে আজকে জেলে আছেন প্রকৃতপক্ষে এ মামলায় আরেকজন বরেণ্য সাংবাদিক শফিক রেহমানেরও সাজা হয়েছিল। উনি এই মামলার সাজা স্থগিত চেয়ে আপিলের আবেদন করেছিলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে সেটা অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু মাহমুদুর রহমান ভাই এটা করেন নাই।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, আপনারা সবাই জানেন উনি অত্যন্ত দৃঢ় আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন এবং দেশপ্রেমিক মানুষ। উনার এ রকম ব্যক্তিত্বের কারণে হয়তো তিনি মনে করেছেন উনি সাজা স্থগিতের আবেদন করবেন না। বা অন্য কারণেই হোক আমি জানি না। যাইহোক উনি সাজা স্থগিত রেখে মুক্ত মানুষ হিসেবে আপিল করার কোনো আবেদন করেননি। ফলে এটা করার কোনো সুযোগ মন্ত্রণালয় বা সরকারের ছিল না। উৎস: যুগান্তর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়