শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:২৮ দুপুর
আপডেট : ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. ইউনূসের হাত ধরে আমরা হারানো জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবো বলে আশাবাদী : শহিদুল আলম (ভিডিও)

জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন আলোকচিত্রী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শহিদুল আলম।

ড. ইউনূসের এই সফর এবং সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আশাবাদী শহিদুল আলম নিজেও। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন বিশ্বনন্দিত ব্যক্তি। তার নেতৃত্বেই আমরা হারানো জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবো বলে আশাবাদী। তার মাধ্যমে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই নয়, পুরো বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরিবর্তন হলে নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে ড. ইউনূসের সম্পর্ক গড়ে ওঠার ফলে আমাদের কূটনৈতিক অবস্থান আরো শক্তিশালী হবে। ড. ইউনূসের মতো একজন ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে আমাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে বলে আশা করছি।’

শহিদুল আলম ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে যে স্বৈরাচারী সরকারকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পরাজিত করা সম্ভব। এই বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি সমতার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছে। তবে এখনকার চ্যালেঞ্জ হলো এই বিপ্লবের অর্জনগুলো ধরে রাখা।’

ড. ইউনূস ও জো বাইডেনের বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে বলে আশা করেন শহিদুল আলম। এছাড়া তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের গার্মেন্টস পণ্যের অন্যতম বৃহত্তম ক্রেতা। আমি বিশ্বাস করি, জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়ার বিষয়টিও এই বৈঠকে গুরুত্ব পাবে।’

বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নতির প্রসঙ্গও স্থান পেতে পারে বলে মন্তব্য করেন শহিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরো মজবুত হবে।’

লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শওকত আলী মনে করেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা হারিয়েছি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারত থেকে ৬০ শতাংশ তৈরি পোশাক আমদানি করে। আমি আশা করি, ড. ইউনূস ও বাইডেনের বৈঠকে জিএসপি ফেরত পাওয়ার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে।’ সূত্র : ঢাকাপোস্ট, চ্যানেল২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়