শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:১৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আরও আটজনের বিরুদ্ধে বাপেক্সের সাবেক এমডির সাক্ষ্য শেষ

এম.এ.লতিফ, আদালত প্রতিবেদক : মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুহম্মদ আলী আহসানের আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাপেক্সের সাবেক এমডি আব্দুল বাকী অবশিষ্ট সাক্ষ্য প্রদান করেন। তার সাক্ষ্য শেষ হওয়ায় আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।

২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ৫ মে, ২০০৮ খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

এ মামলায় অন্য আসামীরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়