এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক : মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আশুলিয়া থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহহিল কাফীকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক আবু তাহের মিয়া তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে।
আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দীন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে আব্দুল্লাহহিল কাফীকে আটক করে ডিবি সদস্যরা। পরদিন রাজধানীর হাজারীবাগ থানার অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ৮ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর সাভারের ইয়ামিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি চান। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর অনুমতি দেন।
পরে তাকে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দীনের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফীকে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে ৫ দিনের রিমান্ড রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :