শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৫৮ দুপুর
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে বাড়ছে রিকশা, ব্যাটারিচালিতরা তোয়াক্কাহীন !

এম এইচ বাচ্চু : রাজধানীতে রিকশা চলাচল বেড়েছে। ব্যাটারিচালিত ও পায়ে চালিত রিকশার কারণে রাজধানীতে যানজট বাড়ছে। দুর্ঘটনারও ঘটছে অহরহ। তবে বেশি দাপট দেখাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। তারা সিএনজির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে। রাস্তায়  বৈধ ও অবৈধ দুই ধরনের রিকশাই চলাচল করতে। কয়েক মাস আগে একটু কড়াকড়ি থাকলেও এখন সেটা নেই। ফলে যে যার মত যে কোন রাস্তায় চলাচল করছে। 

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ঢিলেঢালা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগে এসব যান গলির রাস্তা থেকে প্রধান সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ গণমাধ্যমকে বলেছেন, আইন অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত রিকশা কোনো যানবাহনের মধ্যেই পড়ে না, তাদের রাস্তায় ওঠা তো দূরের কথা। কিন্তু এই গাড়ির সংখ্যা এত পরিমাণ যে, তা বন্ধ করাও সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য আইন জরুরি। তখন সেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

২৬ আগস্ট ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশাচালকদের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন প্যাডেলচালিত রিকশাচালকরা। অন্যদিকে সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবি জানান ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।

জানা গেছে, রাজধানীতে প্রায় দুই লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধভাবে চলাচল করছে। এগুলোর জন্য একদিকে যেমন বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে অদক্ষ চালক ও বেপরোয়া চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব যান এত দিন শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলত। 

গত মে মাসে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে পারবে না বলে ঘোষণা দেন। এরপর চালক ও মালিকদের সড়ক অবরোধ এবং এর জের ধরে সংঘর্ষের পর ঘোষণাটি প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, শুধু গলির রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে। কিন্তু প্রধান সড়কে আসতে পারবে না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সেটা মানছেন না।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, বাংলামোটর, মগবাজার, সাতরাস্তা, মহাখালীসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা দেখা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই এসব অবৈধ যান সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে আগের থেকে নতুন করে যানজট আরও বাড়তে দেখা যায় সড়কে।

পল্টন এলাকায় হাশেম নামের এক প্যাডেলচালিত রিকশাচালক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য আমাদের আয় অর্ধেক কমে গেছে। তাদের কারণে আমরা খেপ পাই না। যেসব জায়গার ভাড়া আমরা ৬০ টাকা পেতাম, সেগুলো তারা ৩০ টাকায় নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের রিকশায় যাত্রীরা না উঠে তাদের রিকশায় চলে যাচ্ছেন।’

ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক নাজিম মিয়া বলেছেন, ‘এত দিন অলিগলিতে চালাতাম। এখন সবাই প্রধান সড়কে উঠে চালায়। আমিও চালাচ্ছি। প্যাডেলচালিত রিকশা চালানো খুব কষ্ট। এ কারণে ওই রিকশা চালাই না।’

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী দেশ গণমাধ্যমকে বলেছেন, কয়েক মাস আগেও এত ব্যাটারিচালিত রিকশা ছিল না প্রধান সড়কে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঢিলেঢালা হওয়ায় এসব অবৈধ রিকশা বেড়েছে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে কঠোর মনিটারং করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়