শিরোনাম
◈ আলোচিত পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়াই এখন অগ্রাধিকার: চীনের রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন সতর্কতা নিয়ে ‘ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর' ◈ স্ক্যানিং ছাড়াই চলছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশ, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য! ◈ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র খুন: প্রেমিকাকেও দেখা গেল সিসিটিভিতে, মামলায় নেই তার অস্তিত্ব ◈ দেশি-বিদেশি মাস্টারপ্ল্যান আওয়ামী লীগকে মাঠে নামানোর পেছনে ◈ পারভেজ হত্যাকাণ্ড: ছাত্রদল বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করেছে: উমামা ফাতেমা (ভিডিও) ◈ নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে রিকশায় পিঠে পা চেপে ঘোরানো, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় ◈ ‘আমরা একটি কঠিন কিন্তু অপরিহার্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি’  ◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২৪, ০৪:০২ দুপুর
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিয়ন্ত্রণে আসেনি গাজী-টায়ারসের আগুন, নিখোঁজ ১৮৭ জন 

রাশিদ রিয়াজঃ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট মিলে টানা ১৭ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত গাজী টায়ার কারখানার আগুন। রোববার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাগা আগুনে এখনও পুড়ছে কারখানাটি।

কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, কারখানাটির কোনো কর্মী নিখোঁজের তালিকায় নেই। তবে  স্বজনদের দাবির ভিত্তিতে নিখোঁজের তালিকা করছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নিখোঁজের তালিকায় ১৮৭ জনের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলছেন আগুন লাগা ভবনটির ভেতরে ৩শ থেকে ৪শ’র মতো লোক আটকা পড়ে আছে । তারা জানান, রোববার বিকেল ৩টার দিকে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ’র মতো লোক লুটপাটের জন্য গাজী টায়ারের ওই কারখানায় ঢুকে ভাঙচুর করতে থাকেন। এরপর রাত ১০টার দিকে লুটপাটের সময় আগুনের সূত্রপাত হয়।

গাজী টায়ারসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, আগুন লাগা ওই ভবনে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল মজুদ ছিল।

 

নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা বলেছেন, গতকাল রোববার রাতে গাজী টায়ারসে লুটপাট চলাকালীন তাদের নিখোঁজ সদস্যরা কারখানাটির ভেতরে ছিলেন। রাতভর তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ।

কারখানাটির ছয়তলা একটি ভবনে বেলা দেড়টায়ও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।

আগুন জ্বলতে থাকা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন মনি আক্তার নামে এক নারী৷ কারখানাটির অদূরে কলাবাগ এলাকার বাসিন্দা মনি বলেন, তার রাজমিস্ত্রি স্বামী মো. রাশেদ গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে কারখানাটিতে এসেছিলেন। সাথে ছিলেন ওই এলাকারই আরেক বাসিন্দা। রাতে রাশেদ বাসায় না ফেরায় মোবাইলে কল দিলেও তা বন্ধ পান।

'সারারাত ধরে আমার বাচ্চার আব্বারে খুঁজতেছি, পাই নাই। যার সাথে আসছিল তার আমি চিনি না। আমি এখন কী করমু?', এই বলে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় বসে পড়েন এ নারী।

একটি সিমেন্ট কারখানার কর্মী আব্দুর রহমান (৩০), ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সুজন (২৮), তার বোন মাফিয়া বেগম (৩০), বোনের স্বামী মো. রতন (৩৫), বড়ালু এলাকার রাজমিস্ত্রি হাসান আলী (৩২), তার দুই বন্ধু অহিদ (৩২) এবং রুবেল (৩০) নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের স্বজনরা স্টারকে জানিয়েছেন।

 

সুত্র: আরটিভি, ডেইলি স্টার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়