অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি বিষয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শনিবার (১৭ আগস্ট) তৃতীয় ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ হলো নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুবচনবাদী গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’র সাক্ষী হয়েছে। আমাদের বীর ছাত্রদের নেতৃত্বে এবং জনসাধারণের যোগদানের মাধ্যমে যা সম্ভব হয়েছে। এই বিপ্লবে অংশ নেওয়া সবচেয়ে ‘বয়স্ক তরুণ’ হতে পেরে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে পেরে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি।
এ সময় সম্মেলনে যোগ দেওয়া রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, নইলে আপনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করতে পারেন। কারণ, ঢাকার অধিকাংশ এলাকার দেয়াল গ্রাফিতিতে পরিণত হয়েছে। তরুণ শিক্ষার্থী ও ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুরা ৪০০ বছরের পুরোনো ঢাকা শহরের দেয়ালে নতুন গণতান্ত্রিক-পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশকে তুলে এনেছে।
ড. ইউনূস বলেন, এসব করতে কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা বা দিকনির্দেশনা ছিল না। কারও কাছ থেকে বাজেট সাপোর্ট পায়নি তারা। এটা দ্বিতীয় বিপ্লবের লক্ষ্যের প্রতি তাদের আবেগ ও অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
তিনি বলেন, আমাদের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। তারা আমাদের সমাজের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী অংশ। তরুণরা একটি নতুন পৃথিবী গড়তে বদ্ধপরিকর। তারা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যে শিক্ষা ও আর্থিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তা শুধু চাকরিপ্রার্থী ও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য। আমাদের সিস্টেমকে নতুন করে সাজাতে হবে। সূত্র : আরটিভি
আপনার মতামত লিখুন :