পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, যে সরকারই আসুক না কেন চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের সুসম্পর্ক থাকবে। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখলে পরবর্তী প্রজন্ম বেনিফিটেড (লাভবান) হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভারতে বসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বিবৃতি দিলে তা দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে না। বিষয়টি ভারতের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি যে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য স্বস্তিকর না। আমরা চাই, তিনি ভারতে বসে যেন এটা না করেন।
উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এটার জবাব তিনি (হাইকমিশনার) কীভাবে দেবেন? তিনি তো ডিসাইড করতে পারবেন না। তিনি এ নিয়ে কিছু বলতে পারেন না বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রদূতের পক্ষে এর উত্তর দেওয়া সম্ভব না। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি যেটা পারেন, তার সদর দপ্তরে জানাবেন। আমি নিশ্চিত তিনি এটা সদর দপ্তরে জানাবেন।
এর আগে বিকেলে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চীন হস্তক্ষেপ করবে না। চীন কঠোরভাবে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, পট পরিবর্তন এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নেও হস্তক্ষেপ করবে না চীন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আশা করি, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে রক্ষায় চীন সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী চীন। সূত্র : আরটিভি
আপনার মতামত লিখুন :