সাদেক আলী: [২] দেশজুড়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা জানিয়ে জাতীয় জীবনে শান্তি, জনসাধারণের নিরাপত্তা ও জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাপনে স্বস্তি আনতে সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রোববার (৪ আগস্ট) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব পর্যায়ে সাংবিধানিক ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির অনুসরণে জনগণের অধিকার সংরক্ষণ ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
[৩] বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চলমান সহিংস পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে বহুসংখ্যক মূল্যবান প্রাণহানি ঘটেছে, যা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। সব প্রকারের সহিংসতা ও নাশকতা পরিহার করে জনজীবনে শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টার প্রতি ইতোপূর্বেও কমিশন কয়েকবার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এত বেদনাদায়ক ঘটনার পরও আন্দোলনের তীব্রতা কমছে না।
[৪] এ অবস্থায় পরস্পরবিরোধী পক্ষগুলোর মারমুখী অবস্থান ও প্রায়শ ঘটানো সহিংসতায় কোনো শান্তি আনার পরিবর্তে সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে ভবিষ্যতে অধিকতর দুর্ভাগ্যজনক, প্রাণহানি ও নির্মমতার। এ পরিস্থিতিতে সব অস্থিরতা নিরসনপূর্বক স্থিতিশীলতা আনয়ন বিশেষভাবে প্রয়োজন। জাতীয় পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি হতে পারে সারাবিশ্বে স্বীকৃত আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে। এজন্য সবার মধ্যে সহযোগিতা, সহনশীলতা ও সহমর্মিতামূলক মনোভাব পোষণ করে সব পক্ষের সংলাপে অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।
[৫] সকল সংঘাত এড়িয়ে চলার উদ্দেশ্যে সরকার ও আন্দোলনকারী পক্ষ সবাই মিলে সংক্ষুব্ধতার সব বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করার মাধ্যমে দেশে শান্তি আনয়নের চেষ্টায় ব্রতী হওয়ার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সকলের প্রতি সবিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে আহ্বান জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে কোনো সহিংস ঘটনা যাতে জনসাধারণের জান ও মালের ক্ষতিসাধন না করে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান।
[৬] ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কমিশন বিশ্বাস করে বাংলাদেশে মানবাধিকারও সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জাতীয় সংস্কৃতি বিরাজ গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের সমান ও অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং মর্যাদার প্রতি বিশেষ নজর প্রদানের মাধ্যমে দ্রুত সব সংকট নিরসনের আশাবাদ ব্যক্ত করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :