ইমন হোসেন: [২] অগ্নিসংযোগ,ভাঙচুর, হত্যা ও লুটতরাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সহিংস রূপ দিতে টোকাই, মাদকাসক্ত ও বেকার তরুণদের বেছে নিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি বাসে আগুন দিলে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পায় টোকইরা। বোমা হামলা করলে এক থেকে দুই হাজার টাকা পায়। টাকার লোভে এসব টোকাই কিশোর ও তরুণরা নাশকতা করে আসছে।(বাংলা ট্রিবিউন)
[৩] ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র বলছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংস রূপ নেওয়ার পর ঢাকার যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, নতুনবাজার, মহাখালী, ধানমন্ডি, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলে সবচেয়ে বেশি। আন্দোলনে ছিন্নমূল লোকদের পাশাপাশি কিশোর, টোকাই, হকাররাও অংশ নিয়েছিল। টাকার চুক্তিতে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।(কালবেলা ২৬-০৭-২০২৮)
[৪] প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হাইকোর্ট থেকে পল্টন যাওয়ার দিকে মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলাকারীদের দেখে শিক্ষার্থী মনে হয়নি। কারণ তাদের বড় অংশ মধ্যবয়সী এবং তাদেও সঙ্গে ছিল টোকাই। (বাংলা ইনসাইডার)
[৫] ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আন্দোলনের নামে চলমান নাশকতায় শিক্ষার্থীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা মেলেনি। বিভিন্ন তথ্য, ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, টাকার বিনিময়ে টোকাই ও ছিন্নমূলদের দিয়ে রাজধানীর উত্তরাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। যারা টাকা দিয়েছে এবং যারা টাকা নিয়ে হামলা করেছে, তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হচ্ছে।(ভোরের কাগজ ২৭-০৭-২০২৪) সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :