এম.এ. লতিফ: [২] রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ চলাকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হামলার কারণে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
[৩] এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটক ভেঙে কিছু আন্দোলনকারী ভিতরে প্রবেশ করে আদালত প্রাঙ্গণে ভাঙচুর চালায় এবং চারদিকে এলোপাথাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর কিছুক্ষণ পরই সাময়িকভাবে এই দুই আদালতের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
[৪] ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল জানান, আদালতে হামলার পর বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
[৫] ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, যে সকল আসামি আসেনি ওই সকল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও জামিন শুনানি বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু মামলার শুনানি এখনো চলছে।
[৬] ঢাকার সিএমএম আদালতের নাজির রেজোয়ান খন্দকার জানান, সিএমএম আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কখন কার্যক্রম শুরু হবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
[৭] ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির খাদেমুল ইসলাম জানান, যে সকল মামলায় আসামি ও সাক্ষী আসেনি সেসব মামলার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু কিছু মামলার শুনানি চলছে।
[৮] ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাদিক ও ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ হোসেন জানান, আজ কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে আসামিবাহী কোনো প্রিজন ভ্যান আসেনি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকেও কোনো হাজতি আসামিকে আদালতে হাজির করেননি কারা কর্তৃপক্ষ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এমএএল/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :