এম.এ. লতিফ: [২] শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালত কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাসসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
[৩] কারাগারে পাঠানো অপর আসামিরা হলেন,ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, ১২ দলের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম।
[৪] এদিন রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
[৫] গত ২৯ জুলাই এ মামলায় আদালত তাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
[৬] মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এর পর ‘বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ও সক্রিয় অংশগ্রহণে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ হাজার কর্মী দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। তারা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। টেলিভিশন ভবনে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ও পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
[৭] সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভেতরে থাকা আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি মালামাল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
একে
আপনার মতামত লিখুন :