সালেহ্ বিপ্লব, আনিস তপন: [২.১] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮ অনুচ্ছেদে এমন একটি সুযোগ রয়েছে। কাজ চলছে, যেকোনো সময় সিদ্ধান্ত এলে আমরা ঘোষণা দেব। প্রক্রিয়া শেষ হলেই আমরা জানাতে পারব।
[২.২] সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা গেছে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। আইনি এবং জটিল বিষয় বলে ড্রাফট তৈরি করতে সময় লাগছে। প্রজ্ঞাপন হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই জারি করা হবে।
[৩] ১৯৭২ সালের পর এবার দ্বিতীয়বারের মতো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে জামায়াতকে। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে দেশে নতুন করে অশান্তি হবে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবিরই তো এই অবস্থা তৈরি করে রেখেছে। এই অবস্থা তৈরি করার পেছনে তাদের যথেষ্ট যোগসাজশ রয়েছে। কোটা আন্দোলনের সবকিছু মেনে নেওয়ার পরেও আন্দোলন থামছে না, সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, পরামর্শদাতারা পরামর্শ না দিলে ছাত্ররা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটাত না। এই যে এত মানুষ হতাহত হয়েছে, সবই কী পুলিশের গুলিতে হয়েছে? আমরাও প্রকাশ করব, কার গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। সবই আমরা প্রকাশ করব। এসব কিছু ছাত্ররা করেনি। ছাত্রদের পেছনে জামায়াত-বিএনপি ও অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোও সম্পৃক্ত ছিল বলে আমরা জেনেছি।
[৫] তিনি আরও বলেন, অনেকদিন ধরে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি ছিল, সেটার বাস্তাবয়নের প্রক্রিয়া চলছে। এই পরিস্থিতির অবনতির জন্য যারা রয়েছেন, তাদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। যারা এগুলো করছেন, জনগণকে সে সম্পর্কে জানাতে হবে।
[৬] নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবির আগেই নিষিদ্ধ ছিল। জিয়াউর রহমান এসে তাদের দল করার রাজনৈতিক অধিকার দিয়েছে। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলগুলো এবং সুশীল সমাজও জামায়াত নিষিদ্ধের কথা বলে এসেছে। এটা জনগণেরও দাবি। সোমবার ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে সবাই এ দলটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :