শিরোনাম
◈ অর্থ আত্মসাৎ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ ◈ সেভিয়াকে হারিয়ে দুই নম্বরে উঠে এলো রিয়াল মাদ্রিদ ◈ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেয়ার কতটা সুযোগ রয়েছে? ◈ অস্ট্রেলিয়ান ট্রাভিস হেড ভারতের মাথা ব্যথার কারণ  ◈ দিল্লিতে অবৈধ ১৭৫ বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করলো পুলিশ, শহরজুড়ে তল্লাশি ◈ ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জয়কে অপ্রত্যাশিত বলছেন আলাউদ্দিন বাবু ◈ দীর্ঘ বছর ক্রিকেট খেলার পর আমাদের একটা স্টেজে আসা উচিত: কোচ সালাহউদ্দিন ◈ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা (ভিডিও) ◈ বিশেষ বিধান জারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৪৪ বিকাল
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে: ওবায়দুল কাদের

মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের 

ইকবাল খান: [২] মতভেদ ভুলে আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সূত্র: বাসস

[৩] তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাসের ধ্বংসলীলা আবার শুরু হয়েছে। আজ আমাদের একসঙ্গে লড়তে হবে। সব মান-অভিমান ভুলে যেতে হবে। এই নারকীয় তান্ডবের বিরুদ্ধে মতভেদ ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।’

[৪] ওবায়দুল কাদের বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।

[৫] অশুভ শক্তি, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনাই এই মুহূর্তে আমাদের অস্তিত্বের কান্ডারি।’

[৬] মন্ত্রী আরও বলেন, জনগণের প্রতিরোধে মুখে দুষ্কৃতকারীরা পদ্মা সেতুতে আক্রমণ করতে পারেনি। কিন্তু তারা সেতু ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন ও মেট্রোরেলে আক্রমণ চালিয়েছে। এই নারকীয় তান্ডবের সাথে আজকে আমাদের লড়াই করতে হবে একসাথে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে এই অপশক্তিকে যেকোন মূল্যে আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি আজ জাতীয় জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছেন।

[৭] ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন সেই রকম একজন ভন্ড মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধা। এই মানুষগুলোকে আমাদের জানতে হবে। এদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানলেই এদের উত্তরসূরিদের কর্মকান্ডের আসল চেহারা উন্মোচিত হবে- যা এখন উন্মোচিত হয়েছে।

[৮] সাবেকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে দায়িত্ব ভাগ করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কাউকে বসিয়ে রাখব না। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গাতে সাবেক ছাত্র নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হবে। সে কথা আজ জানিয়ে দেয়া হলো।

[৯] তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে- এ দায়িত্ব পালনের বিষয়টি আমরা ভবিষ্যতে মূল্যায়ন করবো। এটা দলের সভাপতির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের বলছি। সংকটে যারা ঝুঁকি নেবেন, তাদের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদের মূল্যায়ন থাকবে।

[১০] ওবায়দুল কাদের বলেন, আর যারা কোনো কাজ করবে না, শুধু অফিসে এসে প্রটোকল দেবেন- এমন নেতাকর্মীদের আমাদের দরকার নেই। কোনো প্রটোকল দরকার নেই। আমাদের প্রটোকল আমাদের আদর্শ। আমাদের প্রটোকল আমাদের রাজনীতির আদর্শ। কোনো ব্যক্তির আওয়ামী লীগ অফিসের জন্য তার প্রটোকল দেয়ার কোনো দরকার নেই। অনুগ্রহ করে আমি এটা মনে করিয়ে দিচ্ছি।

[১১] সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, ও সুজিত রায় নন্দী,  বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনসহ সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

[১২] তোপের মুখে কাদের: প্রথম আলো ও ঢাকা পোস্ট জানায়, মূলত আজকের(বুধবার) কর্মসূচি ছিল দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময়। কিন্তু বরাবরের মতো ওবায়দুল কাদের আমন্ত্রিত নেতাদের কথা না শুনে সংবাদ সম্মেলনের মতো করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি শেষ করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। হট্টগোল শুরু হলে কর্মসূচি শেষ না করেই তড়িঘড়ি সভাস্থল ত্যাগ করেন দলের এই শীর্ষ নেতা।

[১৩] বৈঠক উপস্থিত একাধিক ছাত্রনেতা জানান, সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময় সভার জন্য ডেকে গণমাধ্যমের উদ্দেশে কথা বলা শুরু করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা ওবায়দুল কাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, তাঁদের ডেকেছেন, আগে তাঁদের কথা শুনবেন, আলোচনা করবেন। সেটি না করে কেন গণমাধ্যমের সামনে কথা বলা শুরু করেছেন?

[১৪] হট্টগোলের একপর্যায়ে কথা বলা শেষ না করে ওবায়দুল কাদের তাঁর অফিস কক্ষে চলে যান। তখন সাবেক নেতারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের নিচতলায় ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন তাঁরা। কোনো কোনো সাবেক নেতা গণমাধ্যমকর্মীদেরও গালাগাল করেন।

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়