এম এ লতিফ: [২] শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ তিন জনের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
[২] রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর দুজন হলেন, গোলাম দস্তগীর প্রিন্স ও এ বি এম খালিদ হাসান।
[৩.১] এদিন এ্যানিসহ তিন জনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার।
[৩.২] এ্যানির পক্ষে তার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে।
[৪] উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
[৫] গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড থেকে এ্যানিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
[৬] মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এর পর ‘বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ও সক্রিয় অংশগ্রহণে’ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ হাজার কর্মী দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
[৭] তারা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। টেলিভিশন ভবনে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নাম ও পদবি উল্লেখ করে খোঁজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
[৮] সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভেতরে থাকা আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি মালামাল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
একে
আপনার মতামত লিখুন :