শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৪, ০৮:৩৫ রাত
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ

সালেহ্ বিপ্লব: [২] দেশের ১৭৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের ছাত্রদের কোটা সংস্কারের বিষয়টি সামনে রেখে সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষি মহলের দেশব্যাপি সন্ত্রাসি তা-ব ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের আমরা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। গত কয়েক দিনের সন্ত্রাসি হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বহু মূল্যবান প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিরীহ পথচারী, ছাত্র, আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছে তাঁদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং আহত হয়ে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁদের সুস্থতা কামনা করছি।

[৩] তারা বলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে এ নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, বাংলাদেশের মানুষের বহু আকাক্সিক্ষত পদ্মা সেতুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেতু ভবন, মেট্রোরেল, বিআরটিএ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ডিজিটাল ডাটা সার্ভার স্টেশন, কারাগার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নবনির্মিত এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করেছে। অস্ত্র লুটসহ জঙ্গী সন্ত্রাসিদের কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ায় সহায়তা করেছে। জনজীবন বিপন্ন ও দুর্বিসহ করে তুলছে এবং কর্তব্যরত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ ও হত্যার মাধ্যমে নিজেদের স্বরূপ উন্মোচিত করেছে। আমরা এই ধরনের দেশ বিরোধী কার্যক্রমের নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও যারা বিদেশী হস্তক্ষেপ আহবান করেছে তাদের নেতিবাচক ভূমিকার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

[৪] বিবৃতিতে বলা হয়, এই গোষ্ঠিটি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমন ও নাশকতা চালিয়েছে। এরই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বর্তমানের এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম।

[৫] তারা বলেন, ইতোমধ্যে কোটা সংস্কারে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করায় আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা বিশ্বাস করি এর মাধ্যমে ছাত্রদের মূল দাবি পূরণ হয়েছে। এখন ছাত্রদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার সময়। একই সঙ্গে আমাদের সবার প্রত্যাশা কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যে সন্ত্রাসীরা বাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পুনরায় অগ্নিসন্ত্রাস, রাষ্ট্রীয় গৌরবোজ্জ্বল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দেশব্যাপি নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং জনজীবন বিপন্ন করেছে সুষ্ঠু তদন্তের। মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্র, জাতীয় সম্পদ ও জনগণের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সামগ্রিক বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা আহবান জানাচ্ছি।

[৬] বিবৃতিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত জনগণের সমর্থন নিয়ে জাতি তা দ্রুত পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা দেশবাসীকে এই ধ্বংস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান আনাই।

[৭] বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, কাজী রিয়াজুল হক, হাশেম খান, রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, ড. আতিউর রহমান, শিল্পী রফিকুন্নবী প্রমুখ। 

এসবি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়