মনজুর এ আজিজ: [২] শিগগিরই জাতীয় গ্রিডে দৈনিক ৭৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ যুক্ত হতে যাচ্ছে ফেনীর সোনাগাজী বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিনের মধ্যে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইজিসিবি) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইব্রাহীম আহমেদ খান।
[৩] ইজিসিবির বাস্তবায়নে এখানে আরও ১০০ মেগাওয়াট করে তিনটি প্রকল্পের পরিকল্পনা রয়েছে। এর অর্থায়ন করবে সিঙ্গাপুর ও জাপান। যা বাস্তবায়ন হলে এটি হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হাব। একসময়ের বিরাণ চরে এখন লাখো নীল ছাতা (সোলার প্যানেল)। সূর্যের আলো পড়ে সেই ছাতায় উৎপন্ন হচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ, যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। পাখির চোখে দেখা এই ছবি একটি বিরাণ চরের বদলে যাওয়ার দৃশ্যপট।
[৪] জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উপকূলীয় অঞ্চলে ২০২১ সালে জুনে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণের কাজ শুরু করে সরকারের মালিকানাধীন বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২৮৫ একর জমিতে এক লাখ ৭৮ হাজার সোলার প্যানেল স্থাপন করে। এখানের উৎপাদিত বিদ্যুৎ ১২টি আইটিসির মাধ্যমে এসি বিদ্যুতে রুপান্তরিত হয়ে ৩৩ কেভি ভোল্টেজে উন্নীত করা হচ্ছে। মীরসরাই বেজা গ্রিড সাব স্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
[৫] প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৫৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ থেকে ৬২১ কোটি টাকা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৮ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়।
[৬] প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিনা সোলার ও এইচওয়াইডিসি জয়েন্ট ভেঞ্চারে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে। গেল বছরের ৩০ জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বুঝে নেওয়ার পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদনে যায় প্রকল্পটি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :