শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৫ জুলাই, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যা মামলা অধিকতর তদন্তে পিবিআই

এম.এ. লতিফ: [২] বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিন্নাত আরার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য ছিল।

[৩] এদিন বিচারক রায় ঘোষণা না করে রায়ের পর্যায় থেকে উত্তোলন পূর্বক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআইয়ের এসপি পদের নিচে নয়, এমন ব্যক্তি তদন্ত করবেন বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন।

[৪] এনিয়ে ৫ দফা এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আজ মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

[৫] গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত মামলার ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

[৬] কিন্ত রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ওই দিন মামলার রায় ঘোষণা করেননি আদালত। পরবর্তীতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ, ৯ এপ্রিল ও ৩ জুন এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত এবং একই কারণে প্রতিটি ধার্য তারিখেই রায় ঘোষণা স্থগিত করেন আদালত।

[৭] মামলার দুই আসামি জামিনে আছেন। এদিন তারা আদালতে হাজির ছিলেন।

[৮] ২০ মার্চ, ২০১৯ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। বিচারক অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে মামলা থেকে হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেন। ১৬ জুলাই, ২০১৯ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

[৯] মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে- এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একইরকম আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে অরিত্রীর বাবা-মা শান্তিনগরে বাসায় ফিরে দেখতে পান অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।

[১০] এ ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়