শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জনমনে স্বস্তি ফিরে এলেই কারফিউ প্রত্যাহার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আনিস তপন: [২] ‘কোটা বিরোধী আন্দোলনের ছত্রছায়ায় স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিগোষ্ঠির বর্বরতা দেখেছি। এ কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই কারফিউ দিতে হয়েছে।’ 

[৩] বুধবার সচিবালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে এসব কথা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

[৪] তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই জঙ্গি উত্থান ও সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। এখন আমরা অপরাধীদের একে একে চিহ্নিত করবো। আশা করছি আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

[৫] এরআগে ছাত্রদের কোটা আন্দোলন একটা সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। পুলিশ, বিজিবি, আনসারসহ সব বাহিনী ধৈর্যের সঙ্গে এ আন্দোলন মোকাবিলা করেছে। 

[৬] স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে কারা পেছন থেকে মদদ দিয়েছে আপনারা সেটা জানেন। এটা সেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। যারা বাংলাদেশকে একটা অকার্যকর দেশে পরিণত করতে ইন্ধন দিয়েছে। একপর্যায়ে তারা ছাত্রদের বাদ দিয়ে নিজেরাই সামনে চলে এসেছে।

[৭] আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশকে টার্গেট করে তারা হামলা চালিয়েছে। পুলিশ সদস্যকে মেরে ফাঁসি দিয়ে গাছে টানিয়ে রেখেছে। একইভাবে গাজীপুরের সাবেক সেয়র জাহাঙ্গীরের ওপরও হামলা চালিয়েছে তারা। হামলাকারীরা এসময় তার ব্যক্তিগত সহকারীকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাকেও গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এ চিত্র আপনারা দেখেছেন। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বাংলা ভাই নামের যে জঙ্গী গোষ্ঠির উত্থান হয়েছিল। তাদেরকে আমরা এমন করতে দেখেছি। এখন স্বাধীনতা বিরোধী এই জামায়াত-বিএনপিও একই কাজ করেছে।

[৮] কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতাকারীদের সর্বশক্তি দিয়ে চিহ্নিত করে আইনের মুখোমুখি করা হবে। এটা থেকে সরকার এক পা-ও সরকার সরে আসবে না। সরকার জনগণের নিরাপত্তায় বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি করেছে। সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইলে তারা সহযোগিতা করছে। আমরা মনে করি, সবাই মিলে এটাকে প্রতিহত করব। এই গোষ্ঠীকে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেব না।

[৯] আগামীর পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা থানা আক্রমণ করছে, পুলিশ মেরে ফেলছে, কেপিআইগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। সেজন্য সরকার বাধ্য হয়ে কারফিউ জারি করেছে। সেনাবাহিনীর কাজ শেষ হলে, দেশের পরিবেশ যখন ঠিক হয়ে যাবে, তারা তাদের কাজে চলে যাবে। কারফিউ প্রত্যাহার হবে এবং জনজীবন আবারো স্বাভাবিক গতিতে চলবে।

[১০] মামলার সংখ্যা সম্পর্কে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার মেরিট অনুযায়ী চার্জশিট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিদিনই মামলা হচ্ছে।  আন্দোলনকরীরা পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করেছিল। কারণ প্রতি ঘণ্টায়ই মামলা হচ্ছে। চার্জশিট পাওয়ার পর মামলার মেরিট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

[১১] এসময় নিহত প্রত্যেকের পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা নগদ ও ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্পাদনা: এম খান

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়