এল আর বাদল: [২] শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কোটা আন্দোলন নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তার ফেসবুক পেজে লেখেন, এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবে না। এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ওই যুগের রাজাকারদের মতই হবে। ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি। রাজাকারের দল তোরা, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ছাড়!
[৩.১] সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে অনেকেই পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা করেছে, আন্দোলন করেছে। এটি অবশ্যই নাগরিক অধিকার। এ ব্যপারে কারো কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু যারা প্রকাশ্যে নিজের আত্মপরিচয়, জন্ম পরিচয়, ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ‘তুমি কে, আমি কে রাজাকার! রাজাকার!’ শ্লোগান দিয়েছে, এরা সবাই এই যুগের রাজাকার।
[৩.২] এরা রাষ্ট্র মানে না, আদালত মানে না, ইতিহাস মানে না, সর্বোপরি এই দেশকেই মানেনা! আর ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই যুগের রাজাকারেরা একটু সক্রিয় বেশি। কারণ কিছু একটা মন্তব্য লিখে, একটা স্ট্যাটাস দেয়ার ভার্চুয়াল রাজাকারি করা অনেক সহজ।
[৩.৩] রাজাকার আগেও ছিলো এবং এর ধারাবাহিকতায় এখনো আছে! ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রায় ২০% শতাংশ ভোট পরেছিলো নেজামি ইসলামি, মুসলিম লীগ ইত্যাদি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পক্ষ তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই ২০% এর অর্ধেক ১০% ধরে আজকের ১৬ কোটি মানুষের সাথে মেলালে আসবে ১.৬ কোটি। এর মধ্যে ০.৬ কোটিও যদি সারাদিন নিজের রাজাকারির অরাজকতা প্রকাশ করে, বাকি জনগোষ্ঠীর তুলনায় এরা নগন্যই থাকবে!
[৩.৪] এদের আওয়াজে বিভ্রান্ত হলে চলবেনা! এ যুগের রাজাকারদের পরিণতি ঐ যুগের রাজাকারদের মতই হবে! ঘৃণা, ধিক্কার, আর ক্রোধ এদের প্রতি! রাজাকারের দল তোরা, এই মুহুর্তে বাংলাদেশ ছাড়! সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :