শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২৪, ০২:২২ রাত
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১৪ মাস আগে শাস্তির সুপারিশ হলেও অভিযুক্ত কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে

আনিস তপন: [২] ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের মালামাল সরবরাহের সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) এক প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে এ শাস্তির সুপারিশ করা হয়। কিন্তুএই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখনো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

[৩] অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষাগারের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনা-কাটার প্রকল্প পরিচালক মুন্সী মো. হাচানুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আত্মীয়সহ ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের জন্য দরদাতা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছেন। চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহের আগেই চুক্তি মূল্যের সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেছেন। দুটি টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে টেকনিক্যাল কমিটি ও ইভ্যালুয়েশন কমিটি গঠন না করেই কার্যাদেশ প্রদান করেছেন। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে উচ্চ মূল্যে কার্যাদেশ প্রদান করে সরকারের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন।

[৪] এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ও একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি গত বছরের এপ্রিল মাসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু সেই সুপারিশ অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

[৫] এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এই প্রতিবেদককে জানান, আমি মাত্র কয়েক দিন হয়েছে এখানে যোগ দিয়েছি। তাই বিভাগের সব কিছু এখনো দেখে উঠতে পারিনি। তবে এমন কোন বিষয় যদি থাকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।    

[৬] জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ বলেন, দুটি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে শুনেছি। এখন অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এখানে অধিদপ্তরের কিছু করণীয় নেই। কারণ তদন্ত কমিটি সেখানে হয়েছে। তাই ব্যবস্থা যদি নিতে হয় তারাই নেবেন।

[৭] এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রকল্প পরিচালক মুন্সী মো. হাচানুজ্জামানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়