সালেহ্ বিপ্লব: [২] শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরো বলেন, আমিও মেধার পক্ষে। তবে স্লোগানের মাধ্যমে যে বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে, তা বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
[৩] তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩৫, ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আবেদনকারী চাকরিপ্রত্যাশীদের মাত্র ২ দশমিক ২৭ শতাংশ প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর কোটা বিবেচনার বিষয়টি আসে। যারা এই তিনটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাদের মেধাহীন বলাটা যৌক্তিক নয়। অনেকের ভাবটা এমন, ঘর থেকে এনে কোটায় চাকরি দেওয়া হচ্ছে। তা তো নয়।
[৪] কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, কিছু মানুষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে অপব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। এর আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যৌক্তিক আন্দোলন অপব্যবহারের চেষ্টা করেছে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি।
[৫] তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দুই দশক এবং তারও পরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা ক্ষমতায় থাকার সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে নেওয়া হয়নি। তারা দীর্ঘ সময় ধরে নিগৃহীত হয়েছেন, বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। বিভিন্নভাবে বঞ্চনার শিকার হয়ে যারা ২ দশমিক ২৭ শতাংশের মধ্যে (বিসিএসে তিন ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ) ঢুকতে পারেন, তারা মেধাবী না হলে কে মেধাবী?
[৬] প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পিছিয়ে থাকা বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, নারী, প্রতিবন্ধী- যারা সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তারা তো আরও মেধাবী। কোটা বৈষম্য তৈরি করে, এটা ডাহা মিথ্যা কথা। কোটার উদ্দেশ্য বৈষম্য নিরসন।
[৭] প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে, তারা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা সরকারি পরিপত্র পুনর্বহাল চেয়েছেন। সরকারও সে জন্য আইনি লড়াই করছে। পরিপত্রটি পুনর্বহাল হয়েছে। কোটা আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে সরকারের অবস্থান মিলে গেছে। এমন অবস্থায় বারবার দাবি পরিবর্তন করে যারা আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ তৈরি করছেন, তারা কোটাপদ্ধতির সংস্কার চান না। তাদের অন্য কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে। সম্পাদনা: এম খান
আপনার মতামত লিখুন :