মাসুদ আলম: [২] প্রতারণা ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে এক কোটি ৭০ লাখ ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ব্যাংকের সাত কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির উপপরিচালক মো. শাওন মিয়া বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। শনিবার দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
[৩] মামলার আসামিরা হলেন, জামিল শরীফ ওরফে মো. আল আমীন, মো. মজিবর রহমান ওরফে মো. জয়নুল আবেদীন, সামছুল আলম ওরফে রেজাউন্নবী সরকার এবং ঢাকা ব্যাংক গোড়ান শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার বর্তমানে বংশাল শাখার সিনিয়র অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাহজাহানপুর শাখার এভিপি মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, ঢাকা ব্যাংকের সাবেক সেলস এক্সিকিউটিভ বর্তমানে সানসিড পেস্ট সাইডের ম্যানেজার নাজমুল আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
[৪] মামলায় অভিযোগ আনা হয়, ঢাকা ব্যাংকের গোড়ান এসএমই শাখায় ফ্ল্যাটের মূল্য ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা দেখিয়ে ঋণের আবেদন করা হয়। পরে ঋণ গ্রহীতাকে ৮৫ লাখ টাকার ঋণ দেয়া হয়। তিনি ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫০ লাখ ৮৭ হাজার টাকায়। প্রতারণা ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তারা আত্মসাৎ করেন।
[৪] অপরদিকে ঢাকা ব্যাংকের কাকরাইল শাখায় ফ্ল্যাটের মূল্য ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দেখিয়ে লিটন চৌধুরী ঋণের আবেদন করেন। তাকে ৮৫ লাখ টাকার ঋণ দেয়া হয়। তিনি ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪৪ লাখ ৫ হাজার টাকায়। প্রতারণা ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তারা আত্মসাৎ করেন।
[৫] মামলার আসামিরা হলেন- মো. লিটন চৌধুরী ওরফে মো. ইব্রাহিম খলিল, জামিল শরীফ ওরফে মো. আল আমীন, খাইরুন নাহার ইসলাম এবং ঢাকা ব্যাংক কাকরাইল শাখার সাবেক ম্যানেজার বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেদী জামান খান, একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার বর্তমানে ধানমন্ডি মডেল শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আয়েশা সাদাফ হুসাইন, একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার বর্তমানে নরসিংদীর মাধবদী বাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ওবায়দুল হক রনি ও অপারেশনস অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. শাকিল হোসেনের নামে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
[৬] দুদক জানায়, রেজিস্ট্রেশনের মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ঋণ ব্যাংক থেকে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকির দেয়ার উদ্দেশেই গ্রাহক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা মিলে রেজিস্ট্রেশনের সময় ফ্ল্যাট কেনার মূল্য কম দেখিয়েছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ভুয়া। ভুয়া মালিক আসল মালিক সেজে বিক্রি করেছেন। ফ্ল্যাটের জাল দলিলাদির কারণে ফ্ল্যাটটি মিউটেশনও করা যায়নি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :