মোশতাক আহমেদ শাওন, নারায়ণগঞ্জ: [২] নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আনন্দ হাউজিংয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সেই বাংলো বাড়িতে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চালানো তল্লাশি অভিযানে উল্লেখযোগ্য বা অবৈধ কোনো কিছুই পাওয়া যায় নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও দুদকের কর্মকর্তা।
[৩] নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শফিকুল আলমের নেতৃত্বে দুদক, উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকে যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশন, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সীমন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
[৪] বাড়ির নিচতলা ও ওপরের তলার প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করে তল্লাশি করেন তারা। তবে তাদের অভিযানের সময় বাড়ির ভেতরে কোনো গণমাধ্যমকর্মী বা স্থানীয় লোকজনদের কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
[৫] বিকেল পাঁচটায় অভিযান শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শফিকুল আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পুরো বাড়ি তল্লাশি করে একটি পরিবারের ব্যবহারের জন্য যেসব আসবাবপত্র থাকা প্রয়োজন সে ধরনের জিনিসপত্র ও রান্নাঘরের সামগ্রি পাওয়া গেছে। যা খুবই সাধারণ মানের। বিলাসবহুল কোনো কিছুই পাওয়া যায় নি।
[৬] এ বিষয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মঈনুল হাসান রওশন জানান, তল্লাশি করে যা যা পাওয়া গেছে সেগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই আদালতে সেই তালিকাটি উপস্থাপন করা হবে। আদালতের পরবর্তী আদেশ অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম চলবে।
[৭] উল্লেখ্য, দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত গত ১২ জুন বেনজির আহমেদের এ বাড়িটি ক্রোক করার আদেশ দেন। সেই আদেশের ভিত্তিতে ৬ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা ভূমি অফিসের সহযোগিতায় বাড়িটি জব্দের পর সিলগালা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন। সম্পাদনা: এম খান
আপনার মতামত লিখুন :