ইকবাল খান: [২] সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের উপর আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার পর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
[৩] বিবিসি বাংলা আরও জানিয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। অর্থাৎ, যেমন আছে, তেমন থাকবে। কোটা বাতিল-সংক্রান্ত ২০১৮ সালের পরিপত্রের ভিত্তিতে যে সব সার্কুলার দেওয়া হয়েছে সেখানে কোটা থাকছে না।
[৪] অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, যারা আন্দোলন করছেন, তাদেরকে আমি অনুরোধ করবো যে যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট এটা বিবেচনায় নিয়েছেন এবং সুপ্রিম কোর্ট একটা কথা বলছেন, অতএব এখন (আন্দোলন করার) তাদের কোনও যৌক্তিক কারণ নাই। এটি বন্ধ করে তাদের ফিরে যাওয়া উচিৎ।
[৫] তিনি বলেন, ‘সামনে জুডিশিয়াল সার্ভিসের, পিএসসি’র কয়েকটি পরীক্ষা আছে। সেগুলোর প্রজ্ঞাপনে কোটার কথা কোথাও বলা নাই। সেক্ষেত্রে কোটা সিস্টেম যদি স্থগিত না করা হয়, সেক্ষেত্রে এই পরীক্ষাগুলো নেওয়া এবং চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে না। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে কেউ এখানে দরখাস্ত করেনি। আর কোটা দেওয়ারও কথা ছিলো না। সেক্ষেত্রে আরও জটিলতা সৃষ্টি হবে।
[৬] অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আরও বলেচেন, ‘কোটা রাখা-না রাখা সরকারের পলিসি ডিসিশন। সেক্ষেত্রে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
[৭] অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘কোনোভাবেই আন্দোলন করে রায় পরিবর্তন করতে পারে না। রায় পরিবর্তনের একটা পদ্ধতি আছে। কেউ যদি মনে করে যে এই রায়টি সঠিক হয়নি, সে তখন উচ্চতর আদালতে আসতে পারে।’।
আইকে/একে
আপনার মতামত লিখুন :