শিরোনাম

প্রকাশিত : ১০ জুলাই, ২০২৪, ০১:০৭ দুপুর
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটা নিয়ে রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা: শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে যেতে নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক: [২] সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে কোটা পুনর্বহালের যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছিল তার ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।

[৩] এবিষয়ে হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হলে সেটার ওপর শুনানি হলে তখন এবিষয়ে চূড়ান্ত আদেশ দেয়া হবে বলে জানান আইনজীবীরা। এবং হাইকোর্টের রায়ের ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত। 

[৪] হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ঢাবির দুই শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্র পক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাচ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত (আপিল বিভাগ) সর্বোচ্চ আদালত এই আদেশ দেন।

[৫] আদালতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। আর হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর হাইকোর্টে রায় প্রকাশের আগে সে রায় স্থগিত না করার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।

[৬] কোটা পুনর্বহালের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে মঙ্গলবার সকালে আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান। এরপর আবেদনটি বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে মঙ্গলবার দুপুরে আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের চেম্বার আদালত। সে অনুযায়ী বিষয়টির বুধবার কার্যতালিকায় এলে শুনানি শেষে আদেশ দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

[৭] এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য এলে ওইদিন রিটের পক্ষের আইনজীবী না থাকায় তার পক্ষে সময় চাইলে সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টির শুনানি ‘নট টুডে’র আদেশ দেন।

[৮] সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত সরাসরি নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। যেখানে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫ ও প্রতিবন্ধীর ১ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়।

[৯] এই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারসহ সাতজন হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের নিষ্পত্তি করে রায় দেয় হাইকোর্ট।

একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়