আমিনুল ইসলাম: [২] ইউরোপিয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর বাসভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন এবি পার্টি নেতারা। মতবিনিময়কালে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের পাঁচ দশকের অংশীদারিত্বমূলক সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, আগামীতে ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে। [৩] এসময় এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এবি পার্টি উইমেন ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি উপস্থিত ছিলেন । আর রাষ্ট্রদূতের সাথে দ্বিপাক্ষিক মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন ইইউ ঢাকা মিশনের উপপ্রধান ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) সেবাস্তিয়ান রিগার-ব্রাউন।
[৪]মতবিনিময়কালে সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের উপর এবি পার্টির সমালোচনা ও পর্যালোচনা প্রশংসিত হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে আসে। বিশেষ করে বাজেট সংসদ গঠন, রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং জাতীয় ঋণ ও ঘাটতি কমানোর জন্য এবি পার্টির প্রস্তাব ইতিবাচক ছিল বলে মন্তব্য করা হয়। সুশীল সমাজের সদস্য, অর্থনীতিবিদ এবং বিভিন্ন ধারার রাজনীতিবিদদের বাজেট প্রস্তাবনা তৈরীর প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা উচিত বলে এবি পার্টি যে প্রস্তাব করেছে তাও ছিল বেশ আশাপ্রদ।
[৫]বৈদেশিক নীতি সম্পর্কিত আলোচনায়, এবি পার্টি ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। চীন এবং অন্যান্যদের সাথে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের সুসম্পর্ক বজায় রেখে বহুদলীয় গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, সুশাসন, বহুত্ববাদ, মানবাধিকার এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধার মতো নাগরিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধের সাথে দেশটিকে সমন্বয় করার কোনও বিকল্প নেই বলে নেতৃবৃন্দ মত ব্যক্ত করেন।
[৬] এবি পার্টির নেতারা আরো বলেন, যদি দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি কমানো যায় এবং পানির ন্যায্য হিস্যা, সীমান্ত হ্ত্যা, বানিজ্য ঘাটতিসহ দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো পর্যাপ্তভাবে সমাধান করা যায়, তাহলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো বাড়তে পারে।
[৭] এবি পার্টি চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রতি সমর্থনের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, কোটা পদ্ধতিটি অসাংবিধানিক এবং একটি মেধা ভিত্তিক সমাজ গঠন চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য সীমিত আকারে কোটা রাখার পক্ষে এবি পার্টির অবস্থান তুলে ধরা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বহু বছর ধরে ঝুলে আছে যা আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে আরাকানে নিরাপদ প্রত্যাবাসন, অন্য কোন নিরাপদ দেশে পুনর্বাসন বা রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে আভ্যন্তরীণ পুনর্বাসনের মাধ্যমে সমাধান করা প্রয়োজন।
এআই/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :