সুজন কৈরী: [২] অবৈধ মাদক নির্মূলে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) আলোচকরা জানান, অধিদপ্তরের জনবল পর্যাপ্ত নয়। অপারেশন পরিচালনা ও নিরাপত্তার স্বার্থে অস্ত্রও প্রয়োজন।
[৩] সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি মাদকের চাহিদা-ক্ষতি ও সরবরাহ হ্রাসে অধিদপ্তরের গৃহীত উদ্যোগ এবং মাদক বিরোধী অভিযানে অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে আলোকপাত করেন।
[৪] এছাড়া নির্বাচনী ইশতিহারের আলোকে অধিদপ্তরের জনবল, ভৌত অবকাঠামো, ও লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি, ডোপটেস্ট নীতিমালা প্রণয়নসহ বেসরকারি নিবন্ধিত নিরাময় কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নে সরকারি অনুদান বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি আলোচনা করেন।
[৫] আলোচনায় অংশ নেন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মাদক নিরোধ সংস্থার (মানস) সভাপতি ড. অরুপ রতন চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, ড. মো. তৌহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার আফরিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল হান্নান শেলীসহ প্রমুখ।
[৬] আলোচনায় বক্তারা ডিএনসি’র এমন আয়োজনকে স্বাগত জানান। তারা অধিদপ্তরের উন্নয়নে সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন, ডগ স্কোয়াড গঠন, আধুনিক প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণ এবং কর্মচারীদের ঝুঁকি ভাতা প্রদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
[৭] তারা মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের অভিযানে অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। সর্বস্তরে মাদক সচেতনমূলক প্রচারণা বাড়ানো এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের উপর জোর দেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :