✖

সুজন কৈরী: [২] বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবহনের চালক বা হেলপার মামলার জরিমানা তাৎক্ষণিক পরিশোধ করেন না। সেবার মান উন্নয়ন ও সেবা সহজিকরণ করার লক্ষ্যে সেবা প্রত্যাশীরা যেন ঘরে বসেই মামলায় জব্দ হওয়া গাড়ির কাগজপত্র ডাক বিভাগের মাধ্যমে পেতে পারে সেজন্য একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। 

[৩] সোমবার রাজধানীর উত্তরার হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডাক বিভাগ অধিদপ্তর ও হাইওয়ে পুলিশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। 

[৪] সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠানে হাইওয়ে পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পোস্ট মাস্টার জেনারেল (কেন্দ্রীয় সার্কেল) মো. ফরিদ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। 

[৫] হাইওয়ে পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০২৩ সালে মহাসড়কে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার কারণে হাইওয়ে পুলিশ দুই লাখ ৯০৭টি মামলা প্রদান করে। 

[৬] এছাড়া, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক লাখ তিন হাজার ১৪২টি মামলা হয়েছে। মহাসড়কে মূলত দূরপাল্লার পণ্য ও যাত্রী বহনকারী যানবাহনের সংখ্যাই বেশি, যা দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চলাচল করে থাকে। এসব যানবাহনে মামলা প্রদান করা হলে হাইওয়ে পুলিশ বিধিবদ্ধভাবে সংশ্লিষ্ট গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করে। 

[৭] বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবহনের চালক বা হেলপার মামলার জরিমানা তাৎক্ষণিক পরিশোধ করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে কেস স্লিপে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে জরিমানা প্রদান সাপেক্ষে পরিবহনের মালিক বা প্রতিনিধি জব্দকৃত কাগজ সংশ্লিষ্ট রিজিয়ন থেকে সংগ্রহ করে থাকেন। এতে দূরবর্তী এলাকার পরিবহন মালিকদেরকে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। 

[৮] এর ফলে পরিবহনের মালিকরা নির্ধারিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জরিমানার টাকা পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গেই জব্দকৃত কাগজপত্র ডাক বিভাগের মাধ্যমে নির্দিষ্ট গন্তব্যে দ্রুততম সময়ে পেয়ে যাবেন। 

[৯] শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এতে পরিবহন মালিকদের ভোগান্তি যেমন কমবে, তেমনি আর্থিকভাবে সাশ্রয় লাভসহ সময়ের অপচয় রোধ হবে। একইসঙ্গে আইন প্রয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলেও মনে করছেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান শাহাবুদ্দিন খান।  

[১০] এ সময় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (প্রশাসন) মাহ্ফুজুর রহমান, ডিআইজি (পশ্চিম বিভাগ) আতিকা ইসলাম, ডাক অধিদপ্তর (মেইলস) মো. জাকির হাসান নূর, পরিচালক ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল সংযুক্ত (ই-কমার্স) মো. শাহ আলম ভূঁইয়াসহ হাইওয়ে পুলিশ ও ডাক বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব