শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০৪:০৭ দুপুর
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : আরমান হোসেন

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই: ড. ইউনূস

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সালেহ্ বিপ্লব: [২] গত ২৫ জুন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ড. ইউনূসের সাথে হিংসা করার কী আছে? সে পারলে আমার সাথে বিতর্কে আসুক। আমেরিকায় যেভাবে ডিবেট হয়, সেভাবে ডিবেট করুক।  

[৩] প্রধানমন্ত্রীর সেই কথার রেশ ধরে বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আমাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সব বক্তব্য নোট করেছি। তার সঙ্গে আলোচনায় বসার কিছু নেই। তার সব অভিযোগ গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। তাহলে ব্যাংকটির সব চেয়ারম্যানকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

[৪] তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য শুনলাম ও তালিকা করলাম যে কী কী বলেছেন তিনি। তালিকাতে সবকটাই হলো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। আমি টাকা পাচার করেছি, বিদেশে বহু প্রতিষ্ঠান করেছি, ট্যাক্স ফাঁকি দেই। এগুলো হলো তদন্তের বিষয়, বিতর্কের বিষয় নয়। এটা আইন-আদালতের বিষয়, বিচার বিভাগের বিষয়। এখানে বিতর্কের কী আছে বা ডায়ালগের কী আছে, আমি তো কিছু পেলাম না। কাজেই আমার মনে হয়, এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

[৫] তিনি আরো বলেন, আর যেসব বিষয় তিনি উত্থাপন করেছেন অভিযোগ হিসেবে, সেগুলোর জবাব আমরা বহুবার দিয়েছি, একবার না। আপনাদের হয়তো স্মরণ আছে, ২০১২ সালে আমরা এগুলো বলতে বলতে এত বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম, শেষে গ্রামীণ ব্যাংকের ২৯টি প্রশ্ন ও তার জবাব বলে একটা তালিকা করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন আকারে ছাপিয়ে দিয়েছিলাম। ওটা পড়লে ওগুলোর জবাব ওখানেই পেয়ে যাবেন। এটা নতুন করে আর জবাব খুঁজতে হবে না।

[৬] শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় বৃহস্পতিবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস।

[৭] এদিন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ পঞ্চম বারের মতো বাড়িয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনিসহ অন্য চার আসামির জামিন মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ দেওয়া হয়।

[৮] বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ মামলার চার আসামি। একইসঙ্গে আপিল শুনানি পেছানোর আবেদন করা হয়। এনিয়ে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ দিয়ে আদালত ওইদিন পর্যন্ত আপিল শুনানি মুলতবি করেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়