জানা যায়, বিজনেস এলিট অ্যাওয়ার্ডস বিশ্বব্যাপী প্রতিভাবান এবং উত্সাহী নেতৃত্বের উদযাপন করে এবং তাদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য একটি পেশাদারী উদ্বোধন প্রদান করে। এর মর্যাদাপূর্ণ এবং উত্তম পুরস্কার কর্মসূচি সবচেয়ে সফল ব্যবসায়িক নেতাদের প্রতিভা এবং সম্ভাবনা চিহ্নিত করে এবং তাদের নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে। এই ইভেন্টগুলো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যবসাগুলোর সম্প্রসারণ এবং বৃদ্ধির জন্য সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালে বিজনেস এলিট অ্যাওয়ার্ডস তাদের ৪০টি হোনোরি ঘোষণা করেছে, যাদের বয়স ৪০ এর নিচে। তবে তাদের অর্জন, ব্যবসায়িক ধারণা, চিন্তাধারা, উদ্ভাবন এবং ব্যবসার বৃদ্ধি এমনভাবে এগিয়ে, যা দেশব্যাপী অন্যান্য ৪০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের চেয়ে অনেক বেশি। তাদের মধ্যে একজন হলেন মুহাম্মদ কাদের। তাকে ২০২৫ সালের বিজনেস এলিট ৪০ আন্ডার ৪০ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
মুহাম্মদ কাদেরের নাম বিজনেস এলিট অর্গানাইজেশন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পেজে ঘোষণা করেছে। তার নির্বাচনের ফলে প্রমাণি হয়েছে, তার নেতৃত্ব, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং ব্যবসায়িক কৌশল স্বাস্থ্যসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। অল কাউন্টি হেলথকেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে কাদের তার নেতৃত্বে কোম্পানিটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবাদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার উদ্ভাবনী চিন্তা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে কার্যকরভাবে উন্নত করেছে এবং রোগীদের সেবা আরও উন্নত করেছে।
বিজনেস এলিট অ্যাওয়ার্ডসের এই পুরস্কারটি কেবল প্রতিভাবান নেতাদের সম্মাননা জানানোই নয়, বরং তাদের জন্য একমাত্র প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে যা ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ এবং ভবিষ্যত বৃদ্ধির জন্য সংযোগ স্থাপন করতে সহায়ক। বিজনেস এলিট ৪০ আন্ডার ৪০ পুরস্কার বিজয়ীরা একে অপরের সঙ্গে নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে সহযোগিতার সুযোগ লাভ করে এবং তাদের ব্যবসায়িক যাত্রার জন্য নতুন দিকনির্দেশনা পেতে পারেন।
২০২৫ সালের মে মাসে বিজনেস এলিট অর্গানাইজেশন একটি বড় অনুষ্ঠান আয়োজন করবে, যেখানে তারা ৪০ জন নির্বাচিত বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। এই অনুষ্ঠানে বিজয়ীরা তাদের সফলতার গল্প শেয়ার করবেন এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার সুযোগ পাবেন।
মুহাম্মদ কাদেরের বিজনেস এলিট ৪০ আন্ডার ৪০ পুরস্কারে নির্বাচিত হওয়া শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। তিনি একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে প্রমাণ করেছেন, কঠোর পরিশ্রম, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং নিরলস প্রচেষ্টা দিয়ে যে কেউ পৃথিবীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এবং সফল হতে পারেন।
এটি শুধু কাদেরের জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের জন্যও একটি বড় অর্জন, যারা এখন বিশ্বের ব্যবসায়িক দুনিয়ায় নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছেন। সূত্র: সময়টিভি