শিরোনাম
◈ বাংলাদেশকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ 'সমঝোতার' ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ছয়টি পদে আলোচনায় যারা ◈ মিরপুরে এক রাতে ছয় স্থানে ডাকাতি, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা (ভিডিও) ◈ স্যুট পড়ে এসির তাপমাত্রা কম রাখার প্রবণতা থেকে বের হতে হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ; ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত অর্ধশতাধিক (ভিডিও) ◈ জামায়াতের দাবি তাদের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন হয়েছে: গোলাম মাওলা রনি (ভিডিও) ◈ ভারতের বিষাক্ত পানি ঢুকছে বাংলাদেশে: হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ও কৃষি ◈ রগ, হাত-পা কাটা, জামায়েত ইসলামের কোন নীতি নেই :আ্যডভোকেট পাপিয়া (ভিডিও) ◈ ভারতীয় ধর্ম গুরুর ভবিষ্যদ্বাণী, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের কাছে হারবে ভারত ◈ রাতের ভোটের কারিগরদের বিষয়ে হার্ডলাইনে সরকার

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:০৯ রাত
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোয় রেকর্ড হলেও রেমিট্যান্স আয়ে পতন কেন?

বাংলাদেশ অন্য যে কোনও গন্তব্যের তুলনায় সৌদি আরবে বেশি কর্মী পাঠাচ্ছে। সংখ্যার দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয় সেটি, যেমন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গেছে ৫.২৬ লাখ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪.৫২ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬.৫৩ লাখ। অর্থাৎ, গত তিন অর্থবছরে কর্মের সন্ধানে যত বাংলাদেশি বিদেশ গমন করেন— তার প্রায় অর্ধেকই উপসাগরীয় দেশটিতে গিয়েছেন।  

কিন্তু, ধাঁধার শুরু এখানেই। শ্রমিকদের এই ব্যাপক বহির্গমন সত্ত্বেও, সৌদি আরব থেকে পাঠানো অর্থের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে যা সর্বোচ্চ ৫৭২ কোটি ডলারের শিখরে পৌঁছেছিল; তবে এরপর থেকেই কমতে শুরু করে: ২০২১-২২ অর্থবছরে আসে ৪৫৪ কোটি ডলার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৭৭ কোটি ডলার এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা নেমে আসে মাত্র ২৭৪ কোটি ডলারে। 

অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) গত তিন বছরে সৌদি আরবের মাত্র অর্ধেক কর্মী নেয়; যার সংখ্যা মাত্র ২.৪৬ লাখ হলেও— দেশটি থেকে ২০২৩-২৪ সালে ৪৬৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ, সৌদি আরব থেকে আসা রেমিট্যান্সের থেকে প্রায় দ্বিগুণ প্রবাসী আয় পাওয়া গেছে দেশটি থেকে। 

তাহলে এসব অর্থ যাচ্ছে কোথায়?

এর বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে প্রথমেই আছে— সৌদিতে অনিবন্ধিত বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি। দেশটির অনেক নিয়োগকর্তাই ইকামা বা বিদেশি কর্মীর বসবাসের পারমিটের উচ্চ মূল্য দিতে নারাজ, যেকারণে আইনি বৈধতা ছাড়াই অবস্থান করতে হয় অনেক শ্রমিককে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবে ৬০-৭০ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মী গত তিন বছরে তাদের ইকামা পাননি।

তাই আইনিভাবে স্বীকৃতি ছাড়া, এই শ্রমিকরা কম উপার্জন করে এবং আনুষ্ঠানিক বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে পারেন না। এর পরিবর্তে, তারা হুন্ডির দিকে ঝোঁকে, অর্থ প্রেরণের এই অবৈধ বা অনানুষ্ঠানিক ব্যবস্থাই এসব প্রবাসী আয়কে আনুষ্ঠানিক হিসাবের রাইরে রাখছে।

গালফ কো–অপারেশন কাউন্সিল ভুক্ত দেশগুলো বা জিসিসি-ভিত্তিক একটি অধিকার গোষ্ঠী– মাইগ্রেন্ট-রাইটস. অর্গ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুন্ডি ব্যবহার করে বেশিরভাগ শ্রমিক অনিবন্ধিত। কিছু পরিবারও ব্যাংকের চেয়ে হুন্ডিতে টাকা পেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, কারণ তারা এই প্রক্রিয়াকে সহজ মনে করে।

কিন্তু এ কাহিনির অন্যান্য দিকও আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরব থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অর্থ পাচারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা-এবং এরপরে তা রেমিট্যান্স হিসাবে বাংলাদেশে আসার বিষয়টি— রেমিট্যান্সের এই অসামঞ্জস্যের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। 

"সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স বাড়ছে কেন, যখন সৌদি থেকে তা কমছে? এটি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা দরকার"- বলে মনে করছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, "পাচারের অর্থ যদি দুবাই থেকে রেমিটেন্স হিসেবে আসে, তাহলে সেটি মামুলি কোনো বিষয় না। সেক্ষেত্রে সঠিক অনুসন্ধান ছাড়া কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।" 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরও একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত ১১ জানুয়ারি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি সতর্ক করে বলেন, একটি প্রতারক সিন্ডিকেট রেমিট্যান্সে কারচুপি করছে।

ড. মনসুর বলেন, "বাংলাদেশে এখন সৌদি আরব থেকে সব রেমিট্যান্স সরাসরি আসে না। দুবাই হয়ে তারপর আসছে।"

তিনি বলেন, "একটা গোষ্ঠী আগে সৌদি আরব থেকে রেমিট্যান্স কিনে মজুত করছে, এরপর বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কাছে চড়া দরে বিক্রি করছে। এতে দেশের ডলার বাজারকে বাইরে থেকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। এদিকে বৈদেশিক লেনদেনের দায় পরিশোধের জন্য অনেক সময় ব্যাংকগুলোও ডলারের জন্য প্রিমিয়াম মূল্য দিতে রাজি হচ্ছে, যেকারণে দেশে ডলারের দরও বেড়ে যাচ্ছে।"

সংখ্যার বাইরেও অন্য যে কারণ:  সৌদি আরব থেকে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে আসা রেমিট্যান্সে পতনের সাথে শুধু অনিবন্ধিত শ্রমিক বা অবৈধ অর্থ স্থানান্তর জড়িত নয়। এর সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ও কাজ করছে বলে জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।

যেমন বাংলাদেশে ডলারের সংকট থাকায়— কিছু বড় প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের জন্য হুন্ডি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছে। হজ এবং ওমরাহ'র জন্য বিপুল অর্থপ্রেরণও হুন্ডি চ্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে ভূমিকা রাখে। 

সবমিলিয়ে এসব সংখ্যা রেমিট্যান্সে যোগ হচ্ছে না, কিন্তু বাস্তবে তার প্রভাব পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তবে এই প্রবণতা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদকে আরও সংকুচিত করতে পারে, যা ব্যবসা পরিচালনা এবং আমদানিকে আরও কঠিন করে তুলবে।

ইকামা ফি বেশি হওয়ার ফলে যেভাবে অনিবন্ধিত হয়ে পড়ছেন কর্মীরা: বায়রার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট নোমান চৌধুরী টিবিএসকে বলেন, "গত তিন থেকে চার বছরে সৌদি আরবে যাওয়া ৬০-৭০ শতাংশ বাংলাদেশি ইকামা পেতে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। আমি নামী সৌদি সংস্থাগুলোতে কর্মী পাঠাই, কিন্তু তারপরেও— এদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ইকামা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। এ কারণে তারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বাধ্য হয়।"

প্রতি বছর নবায়ন করতে হয় ইকামা, যার ফি দিতে হয় নিয়োগকারীকেই।

সাধারণত, কর্মসংস্থান ভিসায় সৌদি আরবে যাওয়া কর্মীরা তিন মাসের অস্থায়ী অনুমতি পান। নির্মাণ, ক্লিনিং এবং কৃষির মতো অ-শিল্প, স্বল্প মজুরি খাতে কর্মীদের জন্য ১১ হাজার রিয়াল ইকামা ফি দিয়ে নিয়োগকর্তাদের এই সময়ের মধ্যে– তাদের কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট সুরক্ষিত করতে হয়্য। কিন্তু এটি করা নাহলে— শ্রমিকরা অনিবন্ধিত হয়ে পড়ে।

নিয়োগকর্তারা বর্তমানে প্রতি শ্রমিকের ইকামার জন্য সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়কে বার্ষিক ৮,৬০০ রিয়াল দেন। একইসঙ্গে বিমা ও অন্যান্য হিসাবে তাদের আরও ৬০০ রিয়াল দিতে হয় সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। যেকারণে শ্রমিক প্রতি ইকামা বাবদ বছরে তাদের খরচ দাঁড়ায় ১১ হাজার রিয়াল।

বাংলাদেশি নাগরিক ফজলুর রহমান এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রিয়াদে বসবাস করছেন। বর্তমানে কাজ করেন একটি সুপারমার্কেটে। নিয়োগকর্তা ইকামা ফি না দেওয়ার কারণে গত দুই বছর ধরে বৈধ ওয়ার্ক পারমিট পাননি তিনি। 

মঙ্গলবার ফজলুর রহমান টেলিফোনে টিবিএসকে বলেন,  "ইকামা না থাকায় আমি আমার পরিবারকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারি না। আমাকে অন্য ব্যক্তি বা নন-ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে হয়।"

তিনি আরও বলেন, "ইকামা নবায়নের জন্য প্রায়ই আমার নিয়োগকর্তাকে অনুরোধ করেছি, কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।"

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, বিভিন্ন গন্তব্যে গিয়ে চাকরির ক্ষেত্রে  সমস্যায় পড়া বাংলাদেশি অভিবাসীরা গত এক বছরে প্রায় ৬ হাজার ৭৫৫টি অভিযোগ জমা দিয়েছেন, আগের বছরের চেয়ে যা ১৮৪ শতাংশ বেড়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব অভিযোগের প্রায় ৮০ শতাংশই করেছেন সৌদিতে কর্মরতরা।

সৌদি আরবে যাওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকরা ওয়ার্ক পারমিট, চাকরির নিরাপত্তা, বিলম্বিত বেতন এবং মজুরি চুরি নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। বিএমইটি সূত্রগুলি বলছে, ৫০ শতাংশ অভিযোগই ইকামা সমস্যা সম্পর্কিত, কারণ অনেক নিয়োগকারী দেশটিতে তাদের কর্মীদের বৈধভাবে অবস্থানের জন্য অনুমতি নিচ্ছেন না।

এর প্রতিক্রিয়ায়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতারণামূলক আচরণের জন্য ২৪টি সৌদি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে এবং বাংলাদেশী সংস্থার মাধ্যমে তাদের কর্মী নিয়োগ নিষিদ্ধ করে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও সৌদি আরব ইকামা নবায়নের ফি, এবং নবায়ন না হওয়ার কারণে চাকরি হারানোর বিষয়ে আলোচনা করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ৩০ জানুয়ারি সৌদি উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আবুথনাইন এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রিয়াদে এটি সমাধানের জন্য বৈঠক করেছেন।

এর আগে ২০২৪ সালের শেষের দিকে টিবিএস-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান বলেছিলেন,  "সৌদি আরবে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা— বেতন পরিশোধ না হওয়া বা ইকামা না থাকার মতো সমস্যায় পড়লে - এই আইনি প্রতিকার চাইতে পারেন। এজন্য তারা বাংলাদেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, অথবা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করতে পারেন।"

হুন্ডি রোধের বিষয়ে তিনি বলেন, "এটি এমন একটি বিষয় যা কর্মীদের পাশাপাশি উভয় দেশের সরকারের জন্যই উদ্বেগের। আমাদের এখন ডিজিটাল আর্থিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা  দ্রুত ও সুরক্ষিতভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর সুযোগ দেয়। এখন কর্মীরা যদি হুন্ডির মতো অবৈধ পন্থার আশ্রয় নেন, তাহলে শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, কর্মদাতা দেশের অর্থনীতির জন্যও তা ক্ষতির কারণ হয়।"

সৌদি বেশি কর্মী নেয়, তবে বেশিরভাগই স্বল্প দক্ষ: বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য এখনও বিদ্বেষের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থান বাজার হিসেবে রয়েছে সৌদি আরব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে কর্মে নিযুক্তদের বেশিরভাগই স্বল্প দক্ষ কর্মীর ক্যাটাগরিতে পড়েন। 

আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্মের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সৌদি আরব গতবছর অন্য যেকোনও ক্যাটারির চেয়ে বেশি নিয়োগ দেয় সাধারণ বা স্বল্প দক্ষতার কর্মীদের, একইসময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত হিসাবরক্ষকের মতো দক্ষ পেশাদারদের বেশি নিয়োগ দিয়েছিল।

ওমরাহের খরচ পাঠানোর মাধ্যমে হুন্ডিতে লেনদেন বাড়ে

সৌদি আরবে ওমরাহ করার ভিসার জন্য দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে পরিবহন খরচসহ ফি দিতে হয় আবেদনকারীকে।

বাংলাদেশের একটি হজ ও ওমরাহ এজেন্সির মালিক নাম না প্রকাশের শর্তে টিবিএসকে বলেন, "রিয়ালের রেট কম থাকলে আমি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাই, কিন্তু ব্যাংক রেট উচ্চ থাকলে তখন অন্যান্য চ্যানেলে পাঠাই।"

প্রতিবছর সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ বাংলাদেশি প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ওমরাহ হজ পালন করেন, এরমধ্যে অর্ধেক ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো হলেও— বাকিটা যায় হুন্ডির মাধ্যমে। হজের ব্যয় পরিশোধের বিষয়টি এখন ব্যাংকের মাধ্যমে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও— ওমরাহের অর্থ প্রেরণে হুন্ডির ব্যাপক প্রচলন এখনও রয়ে গেছে।

এদিকে ডলার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহৎ রপ্তানিকারকদের। এজন্য তারাও অনানুষ্ঠানিকভাবে ডলার সংগ্রহের জন্য যেসব দেশ থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসে সেখানে অফিস খুলছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের রেমিট্যান্স ও ইসলামিক ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞ মুন্সি মো. আশফাকুল আলম বলেন, "এটা একটা ওপেন সিক্রেট, বিশেষত সৌদি আরব, ওমান, দুবাই ও কাতারে এ উদ্দেশ্যে অফিস খোলা হচ্ছে।" উৎস: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়