শিরোনাম
◈ যেকারনে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৭৫ কি.মি. অংশে বেড়া নির্মাণ বাস্তবসম্মত নয়, জানাল ভারত ◈ ৫ শতাংশ হারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ ◈ নয়াদিল্লির আদলে ঢাকায় মহানগর সরকার গঠনের সুপারিশ কমিশনের ◈ ১৫ বছর চাকরি করলেই পাওয়া যাবে পেনশন ◈ ট্রাম্পের 'সহায়তা স্থগিত', বাংলাদেশে মার্কিন কর্মসূচি ঢেলে সাজানোর সুযোগ ◈ নতুন দুই বিভাগ ও দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের ◈ 'ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে’ মানুষই ব্যবস্থা নেবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ অফিস ফাঁকির অভিযোগে ◈ বিমানবন্দরে গ্রেফতার ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ◈ হাহাকার বেড়েই চলছে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’-এ, বন্ধের পথে অনেক হোটেল-রেঁস্তোরা

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০৬ রাত
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লিবিয়ায় ২৩ লাশ দাফন, নিখোঁজ আরও ৩১: ফেসবুক লাইভে রাষ্ট্রদূত (ভিডিও)

ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবে লিবিয়া উপকূলে মারা যাওয়া ২৩ জনের লাশ দাফন করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টসহ লিবিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধারণা, নিহতরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তবে তাদের কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট বা কোনো পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুক লাইভে এসে এ কথা জানান লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার।

লিবিয়া রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে রাষ্ট্রদূত বলেন, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা থেকে ২৫ জানুয়ারি রাতে ৫৬ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা সাগরপথে ইতালি রওনা হয়। সম্ভবত সেদিনই রাতে নৌকাটি দুর্ঘটনাকবলিত হয়। গত ২৮,২৯ ও ৩০ জানুয়ারি লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে ব্রেগা নামক এলাকায় লাশগুলো ভেসে আসতে থাকে। ২৮ জানুয়ারি সাতজন, ২৯ জানুয়ারি ১১ জন, ৩০ জানুয়ারি দুজন ও ৩১ জানুয়ারি আরও তিনজন, মোট ২৩ লাশ উদ্ধার করা হয়।

নৌকাডুবির শিকার আরও দুই ব্যক্তিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া রাষ্ট্রদূতের হিসাব অনুযায়ী, একই নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ৩১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে সেটা এখনো অজানা।

তিনি বলেন, ভূমধ্যসাগরের পুরো পূর্বাঞ্চল বিদ্রোহী সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সেখানকার প্রসিকিউশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টায় সফল হয়নি ত্রিপলি মিশন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্বার-আল লিবিয়া নামের একটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যারা অভিবাসন নিয়ে কাজ করে তাদের দায়িত্ব দিয়েছে দূতাবাস। তাদের মাধ্যমে জীবিত দু’জন এবং মৃতদেহগুলোর তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে। তাছাড়া রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমেও চেষ্টা করা হচ্ছে। স্বজনদের মাধ্যমেও দূতাবাস কিছু তথ্য পাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। 

আনুষ্ঠানিকতা শেষে উদ্ধার করা লাশগুলো লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আজ-দাবিয়ায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এতে রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সম্পৃক্ত ছিল। দূতাবাস তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

আগামী মার্চ থেকে ফ্লাইট শুরু হতে পারে, এমন আশাবাদের পাশাপাশি হতাশার কথাও জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘আর কত ফেরত পাঠাব। কবে এ মিছিল শেষ হবে কিনা জানি না।’ এ সময় তিনি অবৈধ উপায়ে মানব পাচারে যেসব মাফিয়া ও দালাল চক্র জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেন। উৎস: দেশ রুপান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়