২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড ৪ হাজার ৮১৩ প্রবাসী কর্মীর মরদেহ দেশে এসেছে। এর আগে ২০২৩ সালে এসেছিল ৪ হাজার ৫৫২ প্রবাসকর্মীর মরদেহ। ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের ওয়েবসাইটে গত ১৪ জানুয়ারী এই পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়। তবে কোন দেশ থেকে কতজনের মরদেহ এসেছে তা পরিসংখ্যানে আলাদা করা হয়নি।
২০২১ সালে ৩ হাজার ৮১৮ এবং ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯০৪ বাংলাদেশি অভিবাসীর মরদেহ দেশে এসেছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৫৬ হাজার ৭৬৯ প্রবাসীকর্মীর মরদেহ দেশে এসেছে।
বাংলাদেশী অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক জাছিয়া খাতুন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিদেশে অনেক বাংলাদেশি কর্মী অল্প বয়সে কাজ করতে গিয়ে মারা যান। তাদের মৃত্যুর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা ও শ্রমিকদের নিম্নমানের আবাসন একটি কারণ। অন্যদিকে বিদেশে যাওয়ার খরচ উঠাতে তারা অতিরিক্ত কাজ করেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার খান না।
ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত দেশে মোট ১৭ হাজার ৮৭১ মরদেহ এসেছে যার ৬৭ দশমিক ৪ শতাংশ এসেছে উপসাগরীয় দেশে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন থেকে। এর মধ্যে সৌদি থেকে ৫ হাজার ৬৬৬ জন, আমিরাত থেকে ১ হাজার ৯১৩ জন ও ওমান থেকে ১ হাজার ৮৯৩ মরদেহ এসেছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিদেশ গেছেন মোট ১ কোটি ৬০ লাখ কর্মী, যাদের ৭৬ দশমিক ৩ শতাংশই গেছেন উপসাগরীয় ৬ দেশে।
আপনার মতামত লিখুন :