মাছুম বিল্লাহ : পোল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাসের মিনিষ্টার এবং চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কাজী মুনতাসীর মুর্শেদ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রমের শুভ সুচনা করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠের মাধ্যমে। এ পর্বে অনুষ্ঠানে পোল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী এবং পোল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন । মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয় । বিজয় দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত প্রামান্যচিত্র আধার পেরিয়ে উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দ উপভাগ করেন। পরবর্তীতে বিজয় দিবসের তাৎপর্যের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । বক্তাগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বিদেশে অবস্থান করেও দেশের প্রতি তাদের অঙ্গিকারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে উল্লেখ করেন ।
দূতাবাসের মিনিষ্টার এবং চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কাজী মুনতাসীর মুর্শেদ বিজয় দিবসের মাহাত্ম এবং দিবসের তাৎপর্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরা এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে পথ চলা, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশীদের তাদের সন্তানদের দেশীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান । তাছাড়াও তিনি ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রবাসীদের অনুরোধ করেন। এইসাথে তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাস ওয়ারশ সিটি কর্পোরেশন এবং ডিপারটমেন্ট আব সিটি এবং রোড অথরির্টির এর সমন্বয়ে ওয়ারশস্থ ভিস্তুলা নদীর উপর নির্মিত স্লাসকো দাবড়োভস্কিয়েগো সেতুটিকে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে আলোকিত করা হয়। মিনিষ্টার এবং চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স উপস্থিত সকলকে মোনাজাত এবং আপ্যায়নের পর সেতুটি পরিদর্শন করার অনুরোধ জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ মুক্তিযুদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আগত অতিথিদের দেশীয় খাবাররের সমন্বয়ে নৈশভোজ পরিবেশন এর মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :