শিরোনাম
◈ সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা, যে সব বিষয় নিয়ে হতে পারে আলোচনা  ◈ ঢাকা-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার গ্রেফতার ◈ ঘূর্ণিঝড় ‌‘ডানা’ নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেলো ◈ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুতের ৬ কর্মকর্তা রিমান্ডে ◈ নির্বাচন নিয়ে আসিফ নজরুলের বক্তব্য সরকারের বক্তব্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা ◈ হাওরে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার ◈ ২০২৬ সালের মধ্যেই দেশের প্রথম পাতাল রেল চালু করতে চায় কর্তৃপক্ষ (ভিডিও) ◈ জাতীয় মসজিদের নতুন খতিবকে নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর মন্তব্য ভাইরাল ◈ শেখ হাসিনাকে কোন প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা হবে, জানালেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ এতো দাম দেখে অবচেতনমনেই বলে ফেলি আগেই ভালো ছিলাম : হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০২ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:২৪ রাত
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মালয়েশিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ২০ বছরের সাজা বহাল প্রবাসীর

মালয়েশিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ২০ বছরের সাজা পাওয়া বাংলাদেশি প্রবাসীর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির আপিল আদালত। মঙ্গলবার এক রায়ে তার সাজা অপরিবর্তিত রাখার আদেশ দেন আদালত।

বিচারপতি দাতুক ওয়াজির আলম মাইদিন মীরার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে বলেছে দোষী সাব্যস্ত করা আসামিকে ছাড় দেওয়া প্রতিটি মামলার নির্দিষ্ট তথ্য এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

বেঞ্চের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন দাতুক আহমেদ জাইদি ইব্রাহিম এবং দাতুক এসএম কোমাথি সুপ্পিয়া।

মঙ্গলবার নিউস্ট্রিট টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আপিল আদালত বাংলাদেশি মো. শাহজাদা সাজুর মামলায় এ রায় দিয়েছেন, যিনি ছয় বছর আগে তার স্ত্রী সাজেদা-ই বুলবুলকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে লাগেজের মধ্যে ভরে ডোবায় ফেলে আসেন।

২০২২ সালের মে মাসে হাইকোর্ট প্রসিকিউশনের মামলার শেষে সাজুকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আহমেদ জাইদির দ্বারা প্রস্তুত করা একটি লিখিত রায়ে, আদালত বলেছে এই মামলাটির ক্ষেত্রে বর্বরতা ও নৃশংসতার যে দৃষ্টান্ত অভিযুক্ত তৈরি করেছে তাতে মামলার ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় সাজা বহাল রাখা হয়।

রায়ে আরও বলা হয়, একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি যিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাকে ছাড় বা ক্রেডিট দেওয়া হবে কিনা তা প্রতিটি মামলার ঘটনা এবং পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

সাজেদা-ই বুলবুল পটুয়াখালী সদরের পুরাতন আদালতপাড়ার মো. আনিস হাওলাদারের মেয়ে। তিনি প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং এলএম পাশ করেন। বিয়ের পর ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর স্বামীর সঙ্গে মালয়েশিয়া যান তিনি।

সেখানে যাওয়ার পর স্বামীর অন্য চেহারা দেখতে পান। শাহজাদা নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তৈরি করে দেননি। নিয়মিত করতেন নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৫ জুলাই সাজেদাকে হত্যা করেন শাহজাদা। অপরাধ গোপন করতে স্ত্রীর লাশ টুকরো টুকরো করে কেটে লাগেজে ভরে সুংগাই কালাং (জালান ইপুহ) এলাকায় এক ডোবায় ফেলে গা ঢাকা দেন।

দুই লাগেজে ভর্তি সাজেদার আট টুকরা মৃতদেহ প্রথমে দেখতে পান একজন ভবঘুরে ব্যক্তি। তিনি পুলিশে খবর দিলে এই নৃশংস ঘটনাটি সামনে আসে।

পুলিশ শাহজাদাকে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই দেশটির জোহর রাজ্যের পেঙ্গেরং থেকে গ্রেফতার করে। উৎস: যুগান্তর

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়