শিরোনাম
◈ আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ◈ আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? ◈ সাংবাদিক নূরুল কবীরকে বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার ◈ মুগ্ধকে নিয়ে গুজব: আবেগঘন প্রতিক্রিয়া ভাই স্নিগ্ধের ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬ (ভিডিও) ◈ সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি এখন ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা ◈ এবার ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিলো রিকশাচালকরা ◈ গ্যাসের জন্য ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছি, তারপরও জ্বি স্যার, জ্বি স্যার বলতে হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ ‘দেখি বাসে আগুন জ্বলছে, আমরা কয়েকজন মিলে পোড়া মরদেহ নিচে নামাই’ ◈ বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল ৩ বছরে দুই-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২১ রাত
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাংবাদিক নূরুল কবীরকে বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করেছেন তিনি।

আজ শনিবার নূরুল কবীর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিবার বিদেশে যাওয়ার সময় আমাকে হয়রানি করছে।’

নূরুল কবীরের অভিযোগ, কলম্বো থেকে আসা-যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে দুই দফায় হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তিনি ১৮ নভেম্বর এশিয়া মিডিয়া ফোরাম ২০২৪-এ যোগ দিতে কলম্বো যান এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন।

পোস্টে তিনি জানান, সঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে বিদেশ ভ্রমণের কারণ নিয়ে জেরা করা হয়েছে। কখনো পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে, আবার কখনো পাসপোর্টের পাতা স্ক্যান করে ছবি তোলা হয়েছে, যা তার গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এমনকি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এসব হয়রানি মূলত দেশ ছাড়ার সময় ঘটে, দেশে ফেরার সময় নয়।

তিনি আরও লিখেছেন, ‘এবার ১৮ নভেম্বর যখন আমি একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম, তখন ভেবেছিলাম হয়রানির দিন হয়তো শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। এবার হয়রানি দ্বিগুণ হয়েছে—প্রস্থানকালে এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরও এক ঘণ্টা।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমিক হওয়া মানেই যেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সন্দেহভাজন হওয়া। ফলে আমি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং তাদের সুপারভাইজ করা সরকারের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।’নূরুল কবীরের এই অভিযোগের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই এটি গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন।

এদিকে, এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে কোনো সাংবাদিকের হয়রানি সহ্য করবে না। নূরুল কবির দীর্ঘ কর্মজীবনে সম্পাদক, যুক্তির কণ্ঠস্বর ও সাংবাদিকতায় নৈতিকতার প্রধান অগ্রণী হিসেবে পরিচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়