অমর একুশে বইমেলায় জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ছবি সম্বলিত একটি প্ল্যাকার্ড স্টলের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।হয়েছে ভাইরাল। গতকাল শনিবার বিকেলে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৭ নম্বর প্যাভিলিয়ন অবসর প্রকাশনা সংস্থায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল বিকেলে আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা প্রতিকূল হওয়ায় ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি পড়তে থাকে। এসময় অবসর প্রকাশনার পাশে থাকা হুমায়ুন আহমেদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বারবার পড়ে যেতে থাকে। পরে বইগুলোকে বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা করতে বিক্রয়কর্মীরা প্যাভিলিয়নটি পর্দা দিয়ে ঢেকে দেন। এসময় হুমায়ূন আহমেদের প্ল্যাকার্ডটিও প্যাভিলিয়নের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে সেটা আর খুলে না দেওয়ায় সেটা ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। কেউ নেতিবাচক আবার কেউ বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করে পোস্ট দেন।
মুহাম্মদ জাহিদুর রহমান চৌধুরী নামে একজন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘এই অসম্মানের দায় সবার আগে স্টল মালিক প্রকাশক, প্রতিষ্ঠানের।’
এ বি এস নিবির নামের এক নেটিজেন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘হুমায়ূন স্যারকে এভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। কিন্তু কোনো উপায় ছিলো না। ঝড়ের বাতাসে প্লাকার্ড উড়ে যাচ্ছিলো বিধায় স্যারকে বেঁধে রাখা হয়েছে।’
সানাউল্লাহ মিয়া মজা করে লেখেন, ‘হুমায়ূন আহমেদকে বেঁধে রাখা হয়েছে তাও আবার পিঠ মোড়া দিয়ে। আপনারা কে কোথায় আছেন শাহবাগে চলে আসেন।’
এ বিষয়ে অবসর প্রকাশনা সংস্থা জানায়, ‘এটি খুবই সাধারণ বিষয় ছিল। বৃষ্টি আসছিলো, ভেতরে বই ভিজে যাচ্ছিল। তাই বই রক্ষা করার জন্য পিলারগুলোতে রশি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল যাতে বাতাসে আমাদের পর্দা উড়ে না যায়। এ সময় হুমায়ূন স্যারের প্ল্যাকার্ডও বেঁধে রাখা হয়। আর যখন বৃষ্টি থেমে গিয়েছিলো তখন ঐ বাঁধন আর খোলা হয়নি। তখন হয়তো পাঠকরা ছবি তুলেছেন।’